বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিএসই’র সতর্কতার পরও ছুটছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্স

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:২৭

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ১৫ দিনের মধ্যে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা দেয়ার পরও কোম্পনিটির শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা না কমে আরও বেড়েছে।

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল ঢাকা ইন্স্যুরেন্স। সাধারণ বিমার এ কোম্পানিটির শেয়ার দরে সপ্তাহজুড়েই ছিল উল্লম্ফন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনার তথ্য বলছে, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কাছে গত সপ্তাহজুড়েই পছন্দের তালিকায় ছিল। আর এতে সপ্তাহ শেষে এ কোম্পানিটির শেয়ার সবার শীর্ষে উঠে আসে। এতে সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। এতে ১৫ দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সেই সতর্ক বার্তা কোম্পনিটির শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা থামাতে পারেনি। বরং ডিএসইর বার্তা প্রকাশের পর দাম আরও বেড়েছে।

তথ্যে জানা যায়, ১২ জানুয়ারি ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে ২২ জানুয়ারি ৫৭ টাকা ২০ পয়সা ওঠে। এ পরিস্থিতিতে ২৩ জানুয়ারি ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করা হয়।

ডিএসইর ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের উত্তরে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই।

এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। ইতোমধ্যে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬৫ টাকায় উঠেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৩ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যা ছিল ৫২ টাকা।

কোম্পানিটি ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৮ সালে ১৫ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

৪০ কোটি ১২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৩ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক ১০ শতাংশ।

শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার বড় অঙ্কে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং।

এ বিভাগের আরো খবর