২০২৩ সালের প্রথম পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবি) গত ২২ জানুয়ারি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড নামের এ সনদ দেয়।
বিভিন্ন সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৬০ পয়েন্টের ওপরে পাওয়ায় নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত সবুজ এ কারখানাটি দেয়া হয়েছে প্লাটিনাম সনদ।
এ নিয়ে দেশে লিড সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৪টি।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের প্রথম মাসেই গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ পেয়ে যাত্রা শুরু করতে পারলাম। গত বছর আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লাটিনাম সনদ পেয়েছি। এবছরও আশা করছি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ খাতকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দিয়ে থাকে ইউএসজিবি। বিশেষত, শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটা মানা হলো তার কঠিন তদারকি এবং চুলচেরা বিশ্নেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬০টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি।
সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের গায়ে একটি গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। এর অর্থ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। সাধারণ ভোক্তার কাছে এর আলাদা কদর আছে।
ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। এমনকি দেশের এবং পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে এতে।