তিন বছর পর আবার শুরু হচ্ছে প্লাস্টিক মেলা। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ২২ ফেব্রুয়ারি বসছে চার দিনব্যাপী এই আয়োজন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) ১৫ তম আয়োজন এবারের মেলা। সবশেষ ২০১৯ সালে ১৪তম মেলার আয়োজন করে সংগঠনটি।
রাজধানীর পল্টনে বিপিজিএমইএ’র নিজস্ব কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি সামিম আহমেদ। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ এবং শাহেদুল ইসলাম হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
২৫ ফেব্রুয়ারি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এবারের মেলায় চীন, তাইয়ান, ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ মোট ১৯টি দেশের ৪৮০টি কোম্পানির ৭৮০টি স্টল বা বুথ থাকবে। এটা আগের আয়োজনের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি।
মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে।
সামিম আহমেদ বলেন, ‘মেলায় নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির সমাবেশ আগের চেয়ে ভালো থাকবে বলে আশা করছি। ১৫ ধরনের প্ল্যাস্টিক পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেবে প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় সরাসরি পণ্য অর্ডারের পাশাপাশি ৫ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ মেশিনারিজ পণ্য বিক্রির অর্ডার পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা আমাদের।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডলার সংকটের কারণে আমরা প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারছি না। আর কিছুদিন এই অবস্থা চললে প্লাস্টিক পণ্যের দাম আরও বাড়বে। তখন হয়তো পণ্য উৎপাদন বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্লাস্টিক খাত। কারণ পণ্য উৎপাদনে ৫০ শতাংশ সময়েই প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। আরও কষ্টের বিষয় হচ্ছে, বেশি দাম দিয়েও নিয়মিত বিদ্যুৎ মিলছে না।’