বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কর্মী ছাঁটাই না করে টিকে থাকাটা হবে বড় সাফল্য’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৩৬

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, ‘দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণের ওপর। এমন অবস্থায় কর্মী ছাঁটাই না করে টিকে থাকাটাই হবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েও যদি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাই তাহলে এটাই হোক।’

‘চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাই না করে মুনাফা কমিয়ে টিকে থাকাটাই হবে বড় সাফল্য।’

ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার বলেছেন শনিবার গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৩ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণের ওপর। এমন অবস্থায় কর্মী ছাঁটাই না করে টিকে থাকাটাই হবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েও যদি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাই তাহলে এটাই হোক।’

সামীর সাত্তার বলেন, ‘কটেজ, মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (সিএমএসএমই) এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর অনেক সুবিধা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এগুলো কাটাতে যা যা পলিসি দরকার সেগুলো আমরা করব।

‘সিএমএসএমইগুলো আকারে ছোট হলেও জিডিপিতে তাদের অবদান অনেক বড়। ২৫ শতাংশ অবদান রাখে তারা জিডিপিতে। ক্যাটাগরি থেকে আলাদা করে তাদের ওপর আরও বেশি নজরদারি বাড়ানো দরকার। অনেকে আছে যারা অনলাইনের সঙ্গে পুরোপুরি সংযুক্ত নয়। আমরা তাদের নিয়েও কাজ করতে চাই। দেশের ব্যাংকগুলোতে বড় আর্থিক লেনদেনের জন্য আলাদা ভিআইপি ডেস্ক থাকে। তাই ব্যাংকের সব শাখায় সিএমএসএমইএ’র জন্য আলাদা ডেস্ক দেয়া প্রয়োজন।’

সভাপতি বলেন, ‘নন-পারফরমিং লোনে (এনপিএল) সবচেয়ে বেশি তদারকি করা দরকার। এনপিএলকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং তা কমের মধ্যে রাখতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন দরকার। ফরেন কারেন্সি রিজার্ভে ক্রাইসিস আছে। এজন্য সরকার কারেন্সি সোয়াপ নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি ঢাকা চেম্বার এজন্য কাজ করে যাবে।’

ট্যাক্সেশনে অটোমেশন চেয়ে সভাপতি বলেন, ‘ট্যাক্স নেট বাড়াতে হবে। ঢাকা আর চট্টগ্রাম থেকে ৯৮ শতাংশ ট্যাক্স কালেকশন হয়- এটা আমার কাছে অবাক লেগেছে। এছাড়াও তো বাংলাদেশে আরও জেলা আছে এবং সে সব জায়গাতে অনেক বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন।

‘ভালো ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিতে চান। কিন্তু কেন ট্যাক্সের পরিমাণ কমে আসছে এটা বের করতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট রিফর্ম করতে আমরা কাজ করছি। ভ্যাট সাবমিশনে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা এনবিআরের কাছে যাব।’

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আমাদের যে প্রস্তুতি থাকা দরকার সে প্রস্তুতি আমাদের কতটুকু রয়েছে- প্রশ্ন রেখে সামীর সাত্তার বলেন, ‘আমরা কতটা প্রস্তুত? গ্র্যাজুয়েশনের পর আমরা অতিরিক্ত যে ট্যারিফগুলো ফেস করব তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

‘ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে ট্রিপস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের ট্রিপসের বেনিফিটগুলো চলে যাবে। ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট যেগুলো আছে তার ওপর আমাদের জোর দিতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর, সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালক হোসাইন এ শিকদার, হাবিব উল্লাহ তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর