বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছুটির দিনে দাম বাড়তি নিত্যপণ্যের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫৭

দাম বাড়ায় বরাবরের মতোই ক্রেতাদের অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচমালের দরবৃদ্ধি ও দরপতন অনিশ্চিত বিষয়। সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসে, সরবরাহ কমলে বেড়ে যায়। তাই খুব বেশি কারণ দর্শানোর নেই।

রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম, যাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

এক সপ্তাহ আগের তুলনায় শুক্রবার কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।

চালের দাম আগের সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে ফের কেজিতে কয়েক টাকা বেড়েছে। এ ছাড়াও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও খাসির মাংসের দাম।

দাম বাড়ায় বরাবরের মতোই ক্রেতাদের অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচমালের দরবৃদ্ধি ও দরপতন অনিশ্চিত বিষয়। সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসে, সরবরাহ কমলে বেড়ে যায়। তাই খুব বেশি কারণ দর্শানোর নেই।

বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় চাহিদার সঙ্গে মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ একাধিক বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

সবজি

কারওয়ান বাজারে গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সেখান থেকে আজ আরও ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় মরিচ।

আগের সপ্তাহের মতোই প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তার আগে এসবের দাম প্রায় অর্ধেকে ছিল।৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয় লাউ।

বিক্রেতারা একেকটি লাউয়ের দাম হাঁকছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। দরদাম শেষে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় উঠছে ক্রেতার থলেতে।

করলার কেজিতে আরও ২০ টাকা বেড়েছে। আগের সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়। সেটি আজ বিকিকিনি হয়েছে ১০০ টাকায়, তবে ছোট করলার কেজি ছিল ৬০ টাকা।

চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও ঝিঙের কেজি ছিল ৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। এ ছাড়া আগের সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়ে শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা এবং গাজর ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

ক্রেতা মেহেদী হাসান ইফরান বলেন, ‘সবজিতে ভরপুর বাজার, কিন্তু দাম কিন্তু কম না। অন্য সময়ের তুলনায় বেশি বলা যায় না, কিন্তু শীতের মধ্যে এত আমদানি থাকার পরে যে দাম, সেটা বেশিই বলতে হবে।’

বিক্রেতা জামাল বলেন, ‘কাঁচামালের দামের ঠিক নাই। এক দিনের ব্যবধানে দাম ওঠে, নামে।’

পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকার মতো কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। আর এক মাসেরও কম সময়ে কেজিতে ১০০ টাকার মতো বেড়ে চীনা আদা ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

রসুন ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়, তবে দেশি আদা ও রসুন ১৫০ ও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে জানান বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম।

চাল

দেশে আমনের উৎপাদন ও ভারতীয় চাল আমদানির পরে গত সপ্তাহে দাম কমেছিল পণ্যটির। সপ্তাহের ব্যবধানে ফের চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কেজিতে কয়েক টাকা বেড়ে মিনিকেট ধরনভেদে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। গুটি স্বর্ণা ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আহসান এন্টারপ্রাইজের আসাদ বলেন, ‘মৌসুমেও চালের দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেট। পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। স্বর্ণা চালের প্রতি বস্তাতে ১০০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে।

‘ধানের দাম মণে ১৫০ টাকা বেড়েছে। সামনে আরও কিছু বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

মাছ-মাংস

খাশির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহেও ৫০ টাকা কম ছিল।

গরুর মাংসের কেজি আগের মতোই ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু আগে অনেকের কাছেই ১০ থেকে ২০ টাকা কম নিতেন বিক্রেতারা। সেটা এখন আর পারছেন না বলে জানান তারা।

বিক্রেতা সেলিম বলেন, ‘আগে কিছু ছাড় দিয়ে মাংস বিক্রি করার সুযোগ থাকলেও বর্তমানে নিতে পারছি না। এখন বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানের জন্য মাংসের চাহিদা বেশি, যার কারণে বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

এদিকে ব্রয়লারের কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বিক্রেতা সোহাগ জানান, প্রতি কেজি ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এ ছাড়া ১০ টাকা বেড়ে সোনালি ২৬০ টাকা, লাল লেয়ার ও সাদা কক ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

তীব্র শীতের মধ্যে ইলিশের চাহিদা কমায় দামও হ্রাস পেয়েছিল। শীত কমে আসার সঙ্গে সুস্বাদু মাছটির চাহিদা বাড়তে শুরু করে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে ইলিশের দাম।

এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় এক হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।

আল্লার দান ফিশের স্বত্বাধিকারী শুক্কুর আলী বলেন, ‘শীত কমতে থাকায় চাহিদা বাড়ছে। বড় ইলিশ, যেগুলো এক কেজি ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজন, সেগুলোর দাম ১০০ টাকা বেড়েছে।’

এ ছাড়াও ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন মাছের দাম। রকমভেদে প্রতি কেজি কাতলা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা ও বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

এ বিভাগের আরো খবর