একদিন সূচক বাড়ে তো আরেক দিন কমে- এমন উত্থান-পতনের মধ্যেও দেশের পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন বাড়ছে। সূচক কমলেও চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ৯০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে।
এদিন ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৯৩৪ কোটি ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৩ কোটি ৮১ লাখ ৪ হাজার টাকা বেশি। এমনকি এটি প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কর্মদিবস আগে ১১ নভেম্বর। ওইদিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার।
পতন রোধে ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দেয়, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তা ফের নিম্নমুখী হয়। ডিসেম্বরে এসে নিয়মিতভাবে ২০০ থেকে ৩০০ কোটির ঘরে লেনদেন হতে থাকে।
জানুয়ারি থেকে বাজার ভালো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করলেও প্রথম সপ্তাহে কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দুই দিন লেনদেন ৫০০ কোটির ঘর ছাড়ায়।
এরপর চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবসেই লেনদেন বেড়েছে। প্রথম দুই দিন ৭০০ কোটি এবং মঙ্গলবার ও বুধবার ৯০০ কোটির ঘরে লেনদেন হলো।
ধারাবাহিকভাবে লেনদেন বাড়লেও বাজার উঠা-নামার মধ্যেই ছিল। প্রথম দিন ৩৫ পয়েন্ট বাড়ার পর দ্বিতীয় দিন ৪ পয়েন্ট কমে। মঙ্গলবার ফের ৩৫ পয়েন্ট বাড়ার পর বুধবার কমেছে ২৩ পয়েন্ট। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে।
দর বৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে তিন গুণের কাছাকাছি। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ৪৯টির দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৩৮টির। ১৮১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দরে। এ ছাড়া একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ২৪টি।
লেনদেনের বিষয়ে বিএনবি সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আবু ফারাহ মোহাম্মদ ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে লেনদেনে একটা ফ্লো এসেছে। কিন্তু আজকে বড় শেয়ারগুলোর কিছুটা দরপতনের কারণে সূচক কমেছে।’