বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১৫ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:৫৪

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর ও ভ্রমণ খাত থেকে পুরো অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রধান এই তিন খাতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থেকে যায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। এতে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১১২ কোটি টাকা।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর ও ভ্রমণ খাত থেকে পুরো অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রধান এই তিন খাতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থেকে যায়।

কোন খাত থেকে কত আদায়

আমদানি ও রপ্তানি খাত: রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাতের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি খাত থেকে পুরো অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। যা শতকরা হার ৮২ শতাংশ। এতে খাতটি থেকে ছয় মাস শেষে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।

স্থানীয় পর্যায়ে মূসক খাত: রাজস্ব আদায়ের এ খাতটি থেকেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আহরণ হয়নি। পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাতটি থেকে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার ১২৯ দশমিক ১ কোটি টাকা। যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। যা শতকরা হার ৯৫ শতাংশ । এতে ছয় মাসে খাতটি থেকে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা।

আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত: রাজস্ব আদায়ে এ খাতটিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে। পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাতটি থেকে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। যা শতকরা হার ৯৪ শতাংশ। এতে ছয় মাসে খাতটি থেকে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা।

এতে ছয় মাস শেষে অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৬৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪১ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। যা তখনকার লক্ষ্যমাত্রার ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদেশি ঋণের চাপ কমাতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তবে কর আহরণ বাড়াতে যে ধরনের সংস্কার দরকার তা এখনও করা হয়নি। রাজস্ব খাতে কার্যকর সংস্কার ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।’

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রভাব থেকে দেশের অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। এরমধ্যে আবার শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এমন সংকটময় সময়েও যে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, তা একেবারেই খারাপ না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সব সময় চ্যালেঞ্জিং। কারণ এটি সব সময় বেশি ধরা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানোর। আদায় বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর