বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋণ-আলোচনা চূড়ান্ত করতে আইএমএফ ডিএমডি ঢাকায়

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২২:৩২

আইএমএফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তা সহনশীল রাখতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এ জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ।’

৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এখন ঢাকায়।

শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকায় এসেছেন বলে আইএমএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পাঁচ দিনের এই সফরে অ্যান্তইনেত মনসিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাও দেবেন তিনি। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু দেখার কথা রয়েছে তার।

বাংলাদেশ গত বছরের জুলাইয়ে ঋণ চাইলে সাড়ে তিন বছর ধরে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার অর্থ দেবে বলে আগেই জানিয়েছে আইএমএফ। এই ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসেই পাওয়ার কথা।

আইএমএফের ওয়েবসাইটে শনিবার মনসিও সায়েহের আনুষ্ঠানিক ঢাকা সফর সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল রাখতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এ জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন মনসিও সায়েহ।

আইএমএফ বলেছে, বিশ্ববাজার উত্তপ্ত। ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে ডলার, যা আঘাত করছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। আইএমএফের দিক থেকে সহায়তা দেয়ার পদক্ষেপ এ কারণেই নেয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, বৈশ্বিক মহামারি ও মহামারি–পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। এর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীলই ছিল। বাণিজ্য ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত হওয়ার কারণে সংকটের সীমানায় রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এসব কারণে ব্যয়ের দিক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। অর্থাৎ কম খরচ করতে পারছেন ভোক্তারা। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে তা দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। আইএমএফ মনে করছে, রাষ্ট্রীয় তহবিল ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় এই ঋণ ঢাকার জন্য বহুলাংশে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও।

আইএমএফ বলেছে, ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ স্বল্প মেয়াদে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। একইসঙ্গে তাদের পরামর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে দেবে। যেমন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, মধ্যমেয়াদি স্থিতিশীলতা নির্ভর করে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি।

এ বিভাগের আরো খবর