আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি (ঋণপত্র) খুলতে রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নরের কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খুলতে ডলারের কোটা সংরক্ষণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে ব্যাংকগুলোর নিয়মিত এজেন্ডার বাইরে আসন্ন রোজার পণ্য আমদানিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় পণ্য আমদানিতে ডলারের সহায়তা চান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আশ্বস্ত করেন গভর্নর।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক সরওয়ার হোসেন বলেন, গভর্নরের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- আসন্ন রমজানে আবশ্যক পণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার হয়েছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে এই সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
সেখানে গত বছরের এপ্রিল থেকে নিয়ন্ত্রণ করায় গত ডিসেম্বরে নতুন এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ কমে ৪ বিলিয়নে নেমে এসেছে। ফলে ডলারের সংকট এমনিতেই কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
জানা গেছে, ডলার সংকটে গত তিন মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৬টি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। সে সঙ্গে গত ৬ মাসে চারটি পণ্যের আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তিও কমেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন রমজান উপলক্ষে বাজারে যেন নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবারের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।