বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন সপ্তাহেও সুখবর নেই পুঁজিবাজারে

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:৫৫

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন চার কর্মদিবস পর ও নতুন বছরে প্রথমবারের মতো ৩০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করলেও সূচক কমে ৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে রোববার লেনদেন আরও কমল। দিনভর হাতবদল হয় ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা, যা আগের কর্মদিবসের চেয়ে ৩৩ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার টাকা কম।

নতুন সপ্তাহেও কোনো সুখবর মিলল না পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চার কর্মদিবস পর গত বৃহস্পতিবার ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া লেনদেন ফের নেমে এলো ২০০ কোটির ঘরে, তবে দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন কয়েক গুণ বেশি হলেও সূচক কমেছে সামান্যই।

সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ মাসে পুঁজিবাজারে লেনদেনে খরা দেখা দেয়ার পর নতুন বছরে তা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা, কিন্তু বছরের প্রথম তিন দিন লেনদেন আরও তলানিতে নেমে ২০০ কোটির নিচে চলে যায়।

এরপর পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডেকে বুধবার বৈঠক করে বিএসইসি। বৈঠকে ডিএসই ও সিএসই চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি আইসিবি ও সংস্থাটির সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বিএমবিএ, ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিবিএ, সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সব মিলিয়ে আসা দেড় শ জনকে ডেকে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবাইকে বাজার ভালো করতে নামতে হবে। আর পুঁজিবাজারের স্বাস্থ্য ভালো না হলে ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি উঠবে না।

পরের দিন পুঁজিবাজারে ওই বৈঠকের প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন চার কর্মদিবস পর ও নতুন বছরে প্রথমবারের মতো ৩০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করলেও সূচক কমে ৮ পয়েন্ট।

সেখান থেকে রোববার লেনদেন আরও কমল। দিনভর হাতবদল হয় ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা, যা আগের কর্মদিবসের চেয়ে ৩৩ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার টাকা কম। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

এদিন দরবৃদ্ধির তুলনায় তিন গুণ বেশি দরপতন হলেও সূচক কমেছে মাত্র ১ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৯২ পয়েন্টে।

৪০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয় ১২২টির। আর অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয় ১৬৮টির, যার দুই-একটি বাদে প্রায় সবগুলো ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন করছে।

রোববার ৫৯টি কোম্পানির একটির শেয়ারও লেনদেন হয়নি। আর তিনটির লেনদেন বন্ধ ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে।

যে ৩৩০টির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় কেবল ৪২টি কোম্পানিতে। এসব কোম্পানিতে লেনদেন হয় ২২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। বাকি ২৮৮টি কোম্পানিতে লেনদেন হয় কেবল ৫৫ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার টাকা।

পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএসইসির সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে আইসিবির এমডি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে। বাজার ভালো করতে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে, তবে বাজারের বর্তমান অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিকদের অংশগ্রহণ কম বলেই আমার মনে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি মার্কেটে আসে, তাহলে অন্যরা আস্থা পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর