জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আমদানি শুল্ক কমাতে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আসন্ন পবিত্র রমজানে চিনির দাম কমাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে রমজানের আগে ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
সচিবালয়ে বুধবার দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
টিপু মুনশি বলেন, ‘চিনির দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি। আলোচনা হয়েছে, চিন্তা করছি আমরা একটা চিঠি পাঠাব যাতে করে যে ডিউটি আছে, সেটা যেন রিকনসিডার করা হয়, রমজান মাস সামনে রেখে।
‘ওভারঅল সিচুয়েশন পেঁয়াজ, ছোলার দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। দামও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়েনি। ভোজ্যতেল সয়াবিন, পামের আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম বেড়েছে, তেমনটা নয়। ভালো অবস্থায় আছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম ভবিষ্যতে বাড়বে না।’
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে টাকার দর স্থির থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি বিনিময়ের হার ভালোর দিকেই আছে।’
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের এলসি খুলতে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব। এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করবে।
‘যেমন আপনি যদি এলসি ওপেন করতে চান কিন্তু আপনারটা খুলছে না আপনি আমাদের জানালেন। আমাদের সেক্রেটারি সাহেব এলসিটার ব্যাপার নিয়ে রিকোয়েস্ট করবেন, আপনারটা যাতে খুলে দেয়া হয়।’
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'আমরা আলোচনা করেছি। এ সমস্যাগুলো আছে বলেই সেটা নিয়েই প্রথম পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা। দ্বিতীয়ত হচ্ছে সেই দামটা বাজারে এভেইলেবল কি না, তৃতীয়ত হলো কেউ উচ্চ লাভের আশায় মজুতদারি করেছে কিনা। এসবগুলোই আমরা মনিটরিং করছি।
‘এ কথা ঠিক, যখন একটু ক্রাইসিস হয় অনেক সময় বড় করে দেখে একটা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সামনের দিকে এলসি ওপেনের যথেষ্ট চেষ্টা চলছে৷ রমজান মাসে সমস্যা হবে না বলেই আমরা মনে করছি।'