বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন বছর পর ফিরছে পুঁজিবাজার মেলা

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২২

পঞ্চমবারের মতো হচ্ছে এই এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে। বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে অর্থসূচকের উদ্যোগে এই এক্সপো শুরু হয়। মাঝখানে জাতীয় নির্বাচন এবং করোনাভাইরাসের কারণে ৩ বছর এই এক্সপো হয়নি।

পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের মেলা অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩।

মঙ্গলবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘বিনিয়োগকারীরা যত বেশি জানবে, পুঁজিবাজার তত ভালো হবে। এক্সপোর মতো উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের জানাতে সাহায্য করবে।’

রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে হবে এবারের আয়োজন। সকাল সাড়ে ১০টায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান এর উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

পঞ্চমবারের মতো হচ্ছে এই এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে। বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে অর্থসূচকের উদ্যোগে এই এক্সপো শুরু হয়। মাঝখানে জাতীয় নির্বাচন এবং করোনাভাইরাসের কারণে ৩ বছর এই এক্সপো হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘আমাদের বাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রভাব রয়েছে। তবে এসব ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা কার্যক্রম আনুপাতিক হারে কম। স্টক মার্কেট একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। এই ধরনের এক্সপোগুলো পুঁজিবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকে।

‘যেসব প্রতিষ্ঠান ও প্রকারের হাউজ এই এক্সপোতে আসে তারা কী কী সার্ভিস দিতে পারে ও ইনফরমেশন পেতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। রিসার্চ টিম ক্লায়েন্টদের হেলপ করে। এই ধরনের এক্সপো পুঁজিবাজারের জন্য পজিটিভ আবহাওয়া তৈরি করে।’পুঁজিবাজার বর্তমানে খুবই ক্রান্তিকাল কাটাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সময় আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালো কোম্পানি বাছাই করতে হবে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য পলিসি লেভেলে কাজ করতে হবে। বাজারের উন্নয়নের জন্য বিএসইসি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করছে।’

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজার খারাপ হলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২০২০ সালে বাজারের খারাপ পরিস্থতি ছিল, অথচ ক্লোজিং ভালো হয়েছে।

‘আমাদের অর্থনীতি যে অবস্থায় আছে, তার চেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রচার হয়েছে। হয়তো কেউ কেউ না জেনেও করেছে। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে হতাশা ছিল। অথচ গত মাসে আমাদের রপ্তানি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

মেলার আয়োজক অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এই এক্সপো বিনিয়োগ শিক্ষার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। সেমিনারগুলোই এক্সপের প্রাণ। এক্সপো হলে আমরা নিউজ করে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে পারি।’

সেমিনারের দেশের সেরা বক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বর্তমান ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা গাইডলাইন পেয়ে থাকবেন। এছাড়া আমাদের পলিসি মেকাররা পলিসি তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সহায়তা পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর