বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিংশাইনের মালিক হচ্ছে ওয়াইজ স্টার, বিএসইসির সম্মতি

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০৬

গত ১৭ মে ইউনিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিং সাইন টেক্সটাইলকে অধিগ্রহণে আগ্রহী বলে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠায়। তবে ইউনিয়ন গ্রুপ কোম্পানিটির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসায় ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস এ কাজে আগ্রহ প্রকাশ করে।

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং শাইন টেক্সটাইলকে অধিগ্রহণ করার সম্মতি পেয়েছে ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস।

এটি কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়াং জেমির ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

রিং সাইন টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ওয়াইজ স্টারের চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিষয়টি বেপজাকেও জানানো হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, রিং শাইন টেক্সটাইলকে অধিগ্রহণের জন্য ওয়াইজ স্টারকে কমিশন নীতিগত অনুমতি দিয়েছে। তাই রিং শাইনের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ওয়াইজ স্টারের কাছে স্থানন্তর করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে ওয়াইজ স্টার এবং এর মনোনীতদেরকে প্রাসঙ্গিক সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ১৭ মে ইউনিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিং সাইন টেক্সটাইলকে অধিগ্রহণে আগ্রহী বলে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠায়। তবে ইউনিয়ন গ্রুপ কোম্পানিটির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসায় ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস এ কাজে আগ্রহ প্রকাশ করে।

এর আগে কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), রিং শাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যাংক, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষসহ (বেপজা) সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে ওয়াইজ স্টার।

সে সময় অন্যান্যরা এগিয়ে আসার কথা জানালেও বেপজার পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছিল না।

চলতি বছরের অক্টোবরে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়ে বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস।

ওই সময় চিঠিতে ওয়াইজ স্টার জানায়, বিএসইসির অধিগ্রহণের অনুমতি ও সহায়তা পেলে প্রথম ৬ মাসের মধ্যে রিংসাইন টেক্সটাইলের সকল মেশিন রিমডেলিং এবং মেরামত করবে তারা।

তারা এও জানায়, ২০২৩ সালের মার্চ/এপ্রিলের মধ্যে প্রতি মাসে ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন (৬০-৮০ লাখ টাকা) ব্যবসায় থেকে আয় করা সম্ভব হবে। এতে কোম্পানিটির প্রতি হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সে সময় অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা চেয়েছিল ওয়াইজ স্টার। এগুলো হলো- রিং সাইনকে সর্বশেষ ব্যালেন্স শিট প্রকাশ করতে হবে এবং বিগত ৩ বছরের না হওয়া বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে হবে।

ইউটিলিটি, জমি ভাড়া, সুদ এবং জরিমানা বাবদ বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) থেকে সর্বমোট ৭০ কোটি টাকা মওকুফ, বন্ড, কাস্টমস এবং আয়কর রিটার্ন অফিস পরিচালনার সহায়তা; বন্ড, শুল্ক, এবং আয়কর রিটার্ন পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তাও চায় তারা।

স্থানীয় সরবরাহকারী বা বিক্রেতাদের পাওনা, শ্রমিকের দায় রয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা যা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে নতুন মালিকদের। এছাড়া শ্রমিকদের দায়মুক্তি এবং মেশিন মেরামত ও রিমডেলিংয়ের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অবিশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার শর্তও দিয়েছে তারা।

২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিএসইসি রিং শাইন টেক্সটাইলসকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করতে শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তবে লোকসানের কারণে এক বছরের মধ্যে ২০২০ সালের শেষদিকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পরে কোম্পানিকে উৎপাদনে ফেরাতে কয়েক দফায় পদক্ষেপ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

প্রথম দফায় কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করে। দ্বিতীয় দফায় আইপিওর ফান্ড ব্যবহারে অনুমোদন এবং ভুয়া প্লেসমেন্ট শেয়ার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর রিং সাইন টেক্সটাইলস মিলস গত বছরের ১৩ জুন থেকে ২৫ শতাংশ উৎপাদনে ফেরে।

বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬০ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সায়।

এ বিভাগের আরো খবর