বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। ব্যাংক এই উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলোকে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।
বুধবার এনআরবিসি ব্যাংকের শততম শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের সত্যিকারের সূচনা হল। এভাবে সরকার বহুভাবে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
উন্নয়নকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাসড়কের উন্নয়নসহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতির উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই সরকারের আমলেই ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বেশি বিকাশ হয়েছে। বেশি ব্যাংক নিয়ে অনেকে সমালোচনা হলেও এর সুফল আমরা পাচ্ছি। সব খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘আমরা ব্যাংকিং সেবাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য কাজ করছি। এই লক্ষ্যে সারা দেশে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছি। আজ আমরা শততম শাখার উদ্বোধন করছি। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি করেছি। যেখান থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত যুবাদের বিনা জামানতে ঋণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংক বিআরটিএ’র ফি, রেজিস্ট্রেশন ফিসহ বিভিন্ন সরকারি সেবার সঙ্গেও যুক্ত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া বলেন, ক্ষুদ্রঋণের আওতায় ৪৮ হাজার মানুষকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এ বছর আমরা ১০টি নতুন শাখা স্থাপন করেছি।’উল্লেখ্য, সারাদেশের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ও মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন শাখাসহ বছর শেষে ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৩-এ। এছাড়া ৩৫৫টি উপশাখা, ১০৯টি ল্যান্ড রেজিস্ট্রি সাব ব্রাঞ্চ ও ২১০টি ফিস কালেকশন বুথ, বিআরটিএ বুথ ২৬টি, বিদ্যুৎ বিল কালেকশন বুধ ১৩০টি এবং ৫৮৮টি এজেন্ট পয়েন্ট নিয়ে দেশের সহস্রাধিক এলাকায় সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।