নতুন করে তিনটি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সুইসটেক্স ভিলেজ, ডিবিএল গ্রুপের জিন্নাত নিটওয়্যারের আরএমজি ভবন ও জিন্নাত নিটওয়্যারের প্রিন্টিং ভবন।
চলতি মাসে নতুন করে পাঁচটি তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ পেয়েছে। আর তাতে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানার সংখ্যা বেড়ে ১৮৩-তে দাঁড়াল।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন গ্রিন সার্টিফাইড কারখানার মধ্যে জিনাত নিটওয়ারস পেয়েছে প্লাটিনাম সনদ। আর সুইসটেক্স ভিলেজ পেয়েছে গোল্ড সনদ।
জিনাত নিটওয়ারস লিমিটেডের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে। আরএমজি বিল্ডিং ক্যাটাগরিতে মাওনা, শ্রীপুর, গাজীপুরের অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি ২০ ডিসেম্বর সনদ পেয়েছে। একই দিন কারখানাটিকে প্রিন্টিং বিল্ডিং ক্যাটাগরিতেও প্লাটিনাম সনদ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার সিংগাইরের সুইসটেক্স ভিলেজকে গত ২১ ডিসেম্বর গোল্ড সার্টিফাইড সনদ দেয়া হয়েছে। এটি যাত্রা শুরু করে ২০০৯ সালে।
চলতি মাসেই ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেডকে গোল্ড সনদ দেওয়া হয়। তার আগের মাস নভেম্বরে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ও বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে।
সব মিলিয়ে পোশাক কারখানায় সবুজ সংকেতের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৬০টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৯টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এছাড়া চারটি কারখানা কোনো রেটিং পায়নি, তবে সনদ পেয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক বছরে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের প্লাটিনাম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন বাংলাদেশি পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।’
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। এ জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করে আবেদন করা যায়। বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব স্থাপনাগুলো অধিকাংশই ইউএসজিবিসির অধীন সনদ পেয়েছে।