বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের কাছে ‘আমদানি কোটা’ দাবি

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০১

‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এ সকল পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে আমাদের সমস্যা না হয়।’

চাল, গম, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এ সকল পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে আমাদের সমস্যা না হয়।

‘যেমন পেঁয়াজ ও গম বন্ধ করায় মাঝে বেশ সমস্যা হয়েছিল। ভারত বলছে আমরা যা চেয়েছি তা তারা দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যদি সেটা না নেই তাহলে কি হবে? সেজন্য বলেছে, সবাই বসে প্রয়োজনীয়তা ঠিক করা হবে। তারা যেন আমাদের পণ্যগুলো হঠাৎ বন্ধ করে না দেয়, সে বিষয়েও কথা হয়েছে। পেয়াঁজ নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে আমাদের একমাস সময় দিতে ও আগে থেকে সতর্ক করার জন্য বলেছি।’

গত ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লীতে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুশ গয়াল নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর উপর ২০১৭ সালে আরোপ করা অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের একটি দাবি ছিল দীর্ঘমেয়াদী ভিসা, সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছিলেন ভারত থেকে উচ্চফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি করার বিষয়ে। কারণ আমাদের দেশের রাবার খুব বেশি ভালো হয় না।

‘কারেন্সির বিষয়েও কথা হয়েছে, দুদেশের বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপী ব্যবহারের প্রস্তাব এসেছে। এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারিনি, কারণ এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিস্টদের পরামর্শ লাগবে। আমরা বলেছি আলোচনা হতে পারে। তারা রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে এটি চালু করেছে। এছাড়া বর্ডার হাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবগুলো আলোচনা নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘পণ্য ইম্পোর্টে যে কোটার কথা বলেছি সেখানে আন্দাজ করে পরিমাণ উল্লেখ করেছিলাম। তারা সঠিক কতো পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারন করতে বলেছে।

‘তারা বলেছে অতীতের ৭-৮ বছরের রেকর্ড বলেনা তোমাদের এতো দরকার। বাংলাদেশের জন্য পণ্য রাখার পর যদি না নেয়া হয়, তখন তো সেগুলো নস্ট হবে। সেজন্য দুইপক্ষ আলোচনা করে পরিমাণ ঠিক করতে বলেছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা দিতে ভারতের আপত্তি নেই। তারা বলেছে এক থেকে দেড়মাস একটু অপেক্ষা করতে হবে। করোনার পর মেডিক্যাল ভিসার জন্য প্রচুর চাপ, সেটা দিতেই তাদের সমস্যা হচ্ছে।

‘তারা বলছে জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের প্রেসার কমে আসবে। তখন রেগুলার ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, মাল্টিপল ভিসার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভিসার ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর