বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও পতন, সূচক চার মাসের সর্বনিম্ন

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৬

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে আট গুণ। এসব কোম্পানির বাজার মূলধন কম হওয়ায় সূচকে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি।

আগের দিন ২৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়ার একদিন পর লেনদেন বাড়ল ৭০ কোটি টাকার বেশি, কিন্তু পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না পুঁজিবাজার। লেনদেন খরার মধ্যে এবার সূচক নামল চার মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে আট গুণ। এসব কোম্পানির বাজার মূলধন কম হওয়ায় সূচকে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি।

দিন শেষে ৯ পয়েন্ট কমে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৮০ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে নিচে ছিল ৪ মাস ১৩ দিন আগে ১৪ আগস্ট। ওই দিন ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্টে। এর এক কর্মদিবস আগে ১১ আগস্ট সূচক নেমেছিল ৬ হাজার ১৪৮ পয়েন্ট।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ওই সময়টাতে পুঁজিবাজারের পতন রোধে ৩১ জুলাই ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সে সময় কিছুটা নিম্নমুখী থাকলেও এর পরেই ধীরে ধীরে উত্থান দেখা দেয় পুঁজিবাজারে। সেপ্টেম্বরে লেনদেন ৩ হাজার কোটির কাছাকাছি চলে যায়।

তবে এই লেনদেন ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না। ৭০ থেকে ৮০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে বাড়ছিল সূচক ও লেনদেন।

প্রথম দিকে পতনরোধে কার্যকর মনে হলেও পরবর্তীতে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ফ্লোর প্রাইস। বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর নেমে আসে ফ্লোর প্রাইসে, যে দামে বিক্রেতা থাকলেও কিনতে আগ্রহী ছিলেন না বিনিয়োগকারীরা।

আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে উল্লেখযোগ্যহারে লেনদেন কমতে থাকে। সর্বশেষ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল ৯ নভেম্বর। আর ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ৯ কর্মদিবস আগে ১৩ ডিসেম্বর।

এরই মধ্যে বুধবার দরপতনের সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ১ শতাংশ বেঁধে দিয়ে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে বিএসইসি। এতে আরেক বিপত্তি দেখা দেয় – ফ্লোর প্রত্যাহার করা কোম্পানিগুলোর যেগুলোর প্রাইস ফ্লোরের ওপরে ছিল সেগুলোর দর আগে আরও বেশি হারে কমতে পারত, কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এখন সেগুলোর দর ১ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না, ফলে যেগুলোর কিছু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল, সেগুলোর ক্রেতাও ‘নাই’ হয়ে যায়।

ফলে রোববার বড় দিনের ছুটির পরে সোমবার প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন হয় ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা ২৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

সেখান থেকে ৭০ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেড়ে মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২৬৯ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

এদিন ৭৮টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। এর মধ্যে একটির লেনদেন বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেটের কারণে। যে ৩১৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে মধ্যে ১৩৬টির দর পতন হয়েছে। বিপরীতে দর বেড়েছে ১৭টির।

ফ্লোর প্রাইসে বা আগের দিনের দরে হাতবদল হয় ১৬০টির, যা সোমবার ছিল ১৬৭টি। আর বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ১৫২টি। ফ্লোর প্রাইসে গত কয়েক মাসে সেটিই ছিল সবচেয়ে কম।

কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩১টি কোম্পানিতে। এর পরিমাণ ১১১ কোটি ৭১ লাখ ৫ হাজার টাকা। বাকি ২৮৩টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে কেবল ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুরো অর্থনীতি যেখানে সাফার করছে, সেখানে স্টক মার্কেট নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলার নেই। সামগ্রিক অর্থনীতির যে চিত্র, সেটির প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পুঁজিবাজারে। তবে ডিসেম্বরে সাধারণত বিনিয়োগ কমে আসে, সেটা এবারও হচ্ছে এবং ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগও কম।’

এ বিভাগের আরো খবর