বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের উন্নয়নে ৬ হাজার ১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আপগ্রেডেশন অফ মোংলা পোর্ট প্রকল্পের চুক্তি সই হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এবং ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দিপ গোলাতি চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা ও এজিস গ্রুপের সিইও লরেন্ট জারমেইন।
প্রকল্প সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের এই মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
২০২৪ সালের ৩০ জুলাই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
তিনি বলেন, ‘খুবেই গুরুত্বের সঙ্গে প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করব। আপগ্রেডেশন প্রকল্পের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। আশাকরি সবার সহযোগিতায় প্রকল্পটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’
মোংলা বন্দরের উন্নয়নে সোমবার ৬ হাজার ১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের চুক্তি সই হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
বন্দর চেয়ারম্যান আরও জানান, ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই মেগা প্রকল্পে রয়েছে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, কন্টেইনার হান্ডেলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ, সিকিউরিটি সিস্টেমসহ সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ, সার্ভিস ভেসেল জেটি নির্মাণ।
এছাড়াও রয়েছে আটটি জলযান সংগ্রহ, বন্দর আবাসিক কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি সুবিধাদি (১৩টি সুউচ্চ ভবন), বন্দর ভবন সম্প্রসারণ, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, যন্ত্রপাতিসহ স্লিপওয়ে ও মেরিন ওয়ার্কশপ কমপ্লেক্স নির্মাণ, দিগরাজে রেলক্রসিং ওভারপাস, বন্দরের রাস্তা ছয় লেন পর্যন্ত সম্প্রসারণ এবং বহুতল কার ইয়ার্ড নির্মাণ।
আপগ্রেডেশন অফ মোংলা পোর্ট প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে কন্টেইনার ইয়ার্ড, কন্টেইনার জেটি-বিল্ডিং অ্যান্ড আদার স্ট্রাকচার, হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট, ইউটিলিটি ওয়ার্কস, কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ। বেশকিছু আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।