বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্লোরের বাধার পরেও বড় পতন, লেনদেন নেই ১০২ কোম্পানির

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৭

দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলা কোম্পানির সংখ্যা প্রথমে এক শ, এরপর দেড় শ, তারপর দুই শ, আড়াই শ পেরিয়ে এখন তিন শ ছুঁয়েছে। ফলে এক দিনে ২৭ পয়েন্ট সূচক পতনই আসলে বাজারের এই পরিস্থিতিতে বড় পতন হিসেবেই ধরা যায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে তিন শতাধিক কোম্পানির দর বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে। বাকি যে কয়েকটি কোম্পানি আছে, সেগুলোর শেয়ারের ব্যাপক দরপতনে বিনিয়োগকারীর হতাশা আরও বাড়ল।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স কমেছে ২৭ পয়েন্ট, সূচক নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে। গত ২৮ নভেম্বর সূচক ছিল এর চেয়ে এক পয়েন্ট কম। লেনদেন ফের তিন শ কোটির ঘরে। হাতবদল হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

বিশ্বজুড়ে মন্দার শঙ্কা, দেশের অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগে।

বড় পতন ঠেকাতে গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপর কয়েক মাস বেড়েছে সূচক আর লেনদেন। প্রায় তিন মাস ধরে বাজার পড়ছে তো পড়ছেই।

এর মধ্যে দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলা কোম্পানির সংখ্যা প্রথমে এক শ, এরপর দেড় শ, তারপর দুই শ, আড়াই শ পেরিয়ে এখন তিন শ ছুঁয়েছে। ফলে এক দিনে ২৭ পয়েন্ট সূচক পতনই আসলে বাজারের এই পরিস্থিতিতে বড় পতন হিসেবেই ধরা যায়।

এদিন পুঁজিবাজারে তিনটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত ছিল রেকর্ড ডেটের কারণে। দুটির লেনদেন স্থগিত অন্য কারণে। বাকি ১০২টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। ২০৩টির হাতবদল হয়েছে হাতে গোনা। এই দুই শতাধিক কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

কেবল ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। এর একটি নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের দর কেবল সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে। বাকি আটটির মধ্যে একটির দর ৬ শতাংশের বেশি, দুটির দর এক শতাংশের বেশি এবং বাকি ছয়টির দর বেড়েছে নামমাত্র।

অন্যদিকে দর হারানো কোম্পানিগুলো মধ্যে বেশি হারে কমেছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো, যেগুলোর দর গত কয়েকদিনে অনেকটাই বেড়েছিল। এদের ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না হলেও কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে উঠানামার মধ্যে থাকে দর।

দর হারানোর কোম্পানিগুলোর মধ্যে সাতটির দর কিমেছে ৮ শতাংশের বেশি। সাতটি ৭ শতাংশের বেশি, আটটি ৬ শতাংশের বেশি, আটটি করে কোম্পানি ৫ শতাংশ, ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশের বেশি, সাতটি কোম্পানি ২ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে।

দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন

জুট স্পিনার্সের দর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৩০৩ টাকায়। আগের দিন দর ছিল ৩৩২ টাকা। কোম্পানিটির দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলেও এর চেয়ে নিচে নামা সম্ভব ছিল না।

নর্দার্ন জুটের দরও কমেছে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, এর বেশি দর কমতে পারত না। প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয় ২৪০ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ২৬৩ টাকা ৫০ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৯৯ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি কমতে পারত না কোম্পানিটির দর। আগের দিন দর ছিল ৬১৭ টাকা ৪০ পয়সা, কমে দাঁড়িয়েছ ৫৭১ টাকা ১০ পয়সায়।

কোহিনূর কেমিক্যালের দর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২২ টাকা ৩০ পয়সায়। এটির দর নামা সম্ভব ছিল ৪২০ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত।

এছাড়া মনোস্পুলের দর ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮১ টাকায়। এ ছাড়া সোনালী আঁশ ও পেপার প্রসেসিংয়ের ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ দরপতন হয়েছে।

মুন্নু সিরামিকস, ইস্টার্ন ক্যাবলস, অ্যাপেক্স ফুডস, আজিজ পাইপস, নাভানা ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন ও জেমিনি সি ফুডের দর কমেছে ৭ শতাংশের বেশি। ৮টি কোম্পানির দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।

পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলোকে সেফ মনে করা হয়েছিল সেগুলো সম্পর্কেও নেগেটিভ খবর আসতে শুরু করেছে। কোনো ক্যানসার রোগীকে তার রিপোর্ট না দেখালে হয়তো তিনি সাময়িকভাবে চাপমুক্ত থাকেন, কিন্ত তার যে পরিণতি সেটা থেকে কি রক্ষা পান? স্টক মার্কেট ইকোনমির একটা উইং। ইকোনমির রিফর্মেশন ছাড়া একটা উইং নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ক্যানসার রোগী হয়তো একটা নির্দিষ্ট দিনে একটু ভালো বোধ করতে পারেন। তাই বলে কি ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভ করেন?’

দরবৃদ্ধি যেমন

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১৬ টাকা।

এরপরেই ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল এডিএন টেলিকম। ১ দশমিক ৫১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১০৫ টাকা ৯০ পয়সায়।

এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এর দর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

পুঁজিবাজারের লেনদেন প্রসঙ্গে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ব্যাংকগুলোকে সেফ মনে করা হয়েছিল সেগুলো সম্পর্কেও নেগেটিভ খবর আসতে শুরু করেছে। কোনো ক্যানসার রোগীকে তার রিপোর্ট না দেখালে হয়তো তিনি সাময়িকভাবে চাপমুক্ত থাকেন, কিন্ত তার যে পরিণতি সেটা থেকে কি রক্ষা পান? স্টক মার্কেট ইকোনমির একটা উইং। ইকোনমির রিফর্মেশন ছাড়া একটা উইং নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ক্যানসার রোগী হয়তো একটা নির্দিষ্ট দিনে একটু ভালো বোধ করতে পারেন। তাই বলে কি ক্যানসার থেকে আরোগ্য লাভ করেন?’

দরবৃদ্ধি যেমন

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১৬ টাকা।

এরপরেই ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৭১ টাকা ৯০ পয়সা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল এডিএন টেলিকম। ১ দশমিক ৫১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১০৫ টাকা ৯০ পয়সায়।

এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ এর দর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

এছাড়া প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বার্জার পেইন্টস, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ১ শতাংশের নিচে।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশ।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ২১ পয়েন্ট।

কোহিনূর কেমিক্যালের কারণে সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এ ছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, যমুনা অয়েল, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বার্জার পেইন্টসের দর শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ পয়েন্ট।

ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে এডিএন টেলিকম, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।

সব মিলিয়ে এই ৮টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশ।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে ২ দশমিক ২১ পয়েন্ট।

কোহিনূর কেমিক্যালের কারণে সূচক হারিয়েছে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এ ছাড়াও ওরিয়ন ইনফিউশন, বসুন্ধরা পেপার, যমুনা অয়েল, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বার্জার পেইন্টসের দর শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ পয়েন্ট।

ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে এডিএন টেলিকম, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।

সব মিলিয়ে এই ৮টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।

এ ছাড়া প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বার্জার পেইন্টস, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর কমেছে ১ শতাংশের নিচে।

এ বিভাগের আরো খবর