বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেরা করদাতা: কাউছ মিয়াকে টলাতে পারল না কেউ

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:২৯

কর ফাঁকির প্রবণতার মধ্যে কাউছ মিয়া অনন্য এক নাম। তিনি দেশের তারকা ব্যবসায়ী নন, তবে সেরা করদাতার সম্মানটি তিনি বেশ উপভোগ করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একবার বলেছেন, যত দিন বেঁচে আছেন, ততদিন তিনি এভাবেই সেরা করদাতা হতে চান।

সেরা করদাতার মুকুট আরও একবার উঠে এলো ব্যবসায়ী কাউছ মিয়ার মাথায়। সব মিলিয়ে টানা ১৫ বার তিনি এ কৃতিত্ব দেখালেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর বুধবার ২০২১-২২ করবর্ষের জন্য সেরা করদাতাদের নাম প্রকাশ করেছে। তাতে ব্যক্তি পর্যায়ে বিশেষ শ্রেণিতে কাউছ মিয়ার নাম আবারও সেরাদের তালিকায় স্থান পেয়েছে।

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কেউ সেরা করদাতার এই আসন টলাতে পারেনি।

এবার সেরা করদাতার তালিকায় জ্যেষ্ঠ নাগরিক, ব্যবসায়ী, শিল্পীসহ ১৪১ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬, কোম্পানি পর্যায়ে ৫৩ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেয়া হবে।

কাউছ মিয়া ১৯৯৮ সাল থেকেই দেশের সর্বোচ্চ করদাতার একজন। হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী তিনি।

৭৬ বছর বয়সী ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া ব্যাংক থেকে নেননি কোনো ঋণ। সরকারকে কর দিচ্ছেন ৫৪ বছর ধরে। ১৫ বার ভূষিত হয়েছেন সেরা করদাতা হিসেবে।

কর ফাঁকির প্রবণতার মধ্যে কাউছ মিয়া অনন্য এক নাম। তিনি দেশের তারকা ব্যবসায়ী নন, তবে সেরা করদাতার সম্মানটি তিনি বেশ উপভোগ করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একবার বলেছেন, যত দিন বেঁচে আছেন, ততদিন তিনি এভাবেই সেরা করদাতা হতে চান।

রাষ্ট্রকে দিয়ে কাউছ মিয়াও পেয়েছেন সম্মান। মুজিববর্ষে জাতীয় পর্যায়ে সেরা করদাতার সম্মাননা দেয়া হয় তাকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা জেলার ‘কর বাহাদুর’ পরিবার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় কাউছ মিয়াদের।

একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ ব্যবসায়ী সরকারকে কর দিতে শুরু করেন ১৯৬৮ সাল থেকে। ৬৩ বছর ধরে সততা, আন্তরিকতা ও স্বপ্রণোদনার স্বীকৃতিস্বরূপ কাউছকে জাতীয় রাজস্ব খাতের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড সিআইপি মর্যাদায় ভূষিত করা হয়।

কাউছ মিয়ার জন্ম ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট চাঁদপুর শহরে। বাবা আব্বাস আলী মিয়া ব্যাপারী ও মা ফাতেমা খাতুন।

নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে কাউছের। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কিশোর বয়সেই চাঁদপুর শহরে ব্যবসায়ী জীবনের শুরু।

২০ বছর ব্যবসা করার পর ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে এসে ব্যবসা শুরু করেন কাউছ মিয়া। জর্দা ব্যবসায় উত্থান হলেও বর্তমানে ৪০টি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। আগা নবাব দেউড়ীতে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর