বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোম্পানি সংখ্যা ৩৯২, ক্রেতা নেই ‘তিন শতাধিকের’

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১৬

গত ১০ ডিসেম্বরের ডামাডোলের আগে লেনদেন তিন শ কোটির নিচে নেমে আসলেও সমাবেশ ভালোয় ভালোয় কাটার পর পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস দেখা দেয় ইতিবাচক প্রবণতা। বাড়ে সূচক, বাড়ে লেনদেন। তবে এর পর টানা পাঁচ দিন কমল সূচক। তিন দিনে সূচক বেড়েছেল ৪৩ পয়েন্ট, পাঁচ দিনে কমল ৪৪ পয়েন্ট। লেনদেন তিন কর্মদিবস বেড়ে ছয় শ কোটি টাকার ঘরে উঠে গেলেও পাঁচ কর্মদিবস পর আবার তা তিন শ কোটির ঘরে।   

শেয়ারের দর একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামতে পারবে না, এই বিধিনিষেধের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে না শেয়ারের ক্রেতা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে মঙ্গলবার একটি শেয়ারও হাতবদল হয় ৭৪টি কোম্পানির। ২৩৫টি কোম্পানির ক্রেতা ছিল হাতে গোণা। বিপুল পরিমাণ বিক্রেতা থাকলেও তারা বিক্রি করতে না পেরে হতাশ।

সব মিলিয়ে ৩১০টি কোম্পানির শেয়ারের এই ক্রেতা সংকট পুঁজিবাজারের দুরবস্থা ফুটে উঠেছে।

গত ১০ ডিসেম্বরের ডামাডোলের আগে লেনদেন তিন শ কোটির নিচে নেমে আসলেও সমাবেশ ভালোয় ভালোয় কাটার পর পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস দেখা দেয় ইতিবাচক প্রবণতা। বাড়ে সূচক, বাড়ে লেনদেন।

তবে এর পর টানা পাঁচ দিন কমল সূচক। তিন দিনে সূচক বেড়েছেল ৪৩ পয়েন্ট, পাঁচ দিনে কমল ৪৪ পয়েন্ট।

লেনদেন তিন কর্মদিবস বেড়ে ছয় শ কোটি টাকার ঘরে উঠে গেলেও পাঁচ কর্মদিবস পর আবার তা তিন শ কোটির ঘরে।

এদিন ১৩৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে একটি থেকে এক হাজারের মধ্যে। কোম্পানিগুলোতে হাতবদল হয়েছে কেবল ২৯ হাজার ২০৫টি শেয়ার।

৬৬টির লেনদেন হয়েছে এক থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে, যার পরিমাণ ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৯টি।

শেয়ারের ভলিউমের সঙ্গে কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ। হাতবদল হয়েছে ৩২২ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার, বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট; যা আগের দিনের চেয়ে ১৩৪ কোটি ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা কম।

রোববারের তুলনায় সোমবার ১১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা বেড়েছিল লেনদেন, হাতবদল হয়েছিল ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে চার গুণেরও বেশি। এর প্রভাবে ১২ পয়েন্ট সূচক কমে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২৬ পয়েন্টে।

১৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমে লেনদেন হয়েছে ৬৫টির। এ ছাড়া ২৩৫টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

এমন দিনে কোনো খাতের বিনিয়োগকারীদেরই স্বস্তি দেখা যায়নি। তবে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো। আগের দিন যেগুলো দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই দরপতনের শীর্ষে।

লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী (সিইও) খন্দকার সাফফাত রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থবছর শেষে ব্যাংকিং খাতে একটা ফ্লো আসতো। ক্যাপিটাল গেইন না হলেও ডিভিডেন্ড চিন্তা করে অনেকেই পজিশন নিত, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর নেতিবাচক খবরে সেটা সেভাবে আসছে না। এ ছাড়া ইয়ার এন্ডিং, ম্যাক্রো ইনকোনমিতেও তেমন প্রমিন্যান্ট কিছু নেই, যে কারণে লেনদেন কমেছে। একটা শক অ্যাবজর্ব করতে কিছুটা সময় লাগে। জানুয়ারি থেকে একটা ফ্লো আশা করা যায়।’

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ২০ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির দর কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ইস্টার্ন ক্যাবলসের দর ৬ দশমিক ১০ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭৭ পয়েন্ট।

ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ৭০ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এ ছাড়াও পূবালী ব্যাংক, বিকন ফার্মা, বাটা সুজ, বার্জার পেইন্টস, বসুন্ধরা পেপার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও কোহিনূর কেমিক্যালের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৫৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের দর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।

প্রিমিয়ার ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ২৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্টাইলক্রাফট, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিকস, জিকিউ বলপেন ও এডিএন টেলিকম।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৬ টাকায়। আগের দিন দর ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

এরপরেই ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ দর বেড়ে স্টাইল ক্রাফটের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১২ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ অটোকারস। ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৫৯ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১৫৪ টাকা ১০ পয়সায়।

এ ছাড়া তালিকায় ছিল জিকিউ বলপেন, আজিজ পাইপস, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

দরপতনের শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬১৭ টাকা ৪০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৬৬৭ টাকা ৪০ পয়সা।

এর পরেই ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ দর কমে ইন্ট্রকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৪৬ টাকা ২০ পয়সা।

জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৩৩২ টাকায়। আগের দিন দর ছিল ৩৬১ টাকা ৪০ পয়সা।

এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে ছিল ইস্টার্ন ক্যাবলস, নর্দার্ন জুট, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, সোনালী আঁশ, অ্যাপেক্স ফুডস, আমরা নেটওয়ার্কস ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার।

এ বিভাগের আরো খবর