শিল্পোদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার অনুষ্ঠিত চেম্বারের নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হয় বলে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।
কামরান টি. রহমান দ্বিতীয়বারের মতো এমসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। হাবিবুল্লাহ এন. করিম সহসভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত এমসিসিআইয়ের ১১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করা হয়। এই পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য এমসিসিআইয়ে নেতৃত্বে দেবে।
সাইফুল ইসলাম একজন নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে পরিচিত। তিনি পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়াও তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) পরিচালক।
সাইফুল ২০১৫-১৭, ২০১৭-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সময়কালে লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এবং ২০০৮-১২ সময়কালে বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০২১ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (এইওএসআইবি) এবং এমসিসিআইয়ের সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া তিনি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড শিপ বিল্ডিং লিমিটেড, বঙ্গ ড্রেজারস লিমিটেড, সুবর্ণ ভূমি রিসোর্টস, মুন্সীগঞ্জ এবং সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পদে আছেন। তিনি ফুট স্টেপস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাইরুহিল রিসোর্টের পরিচালক এবং সাংঘভি সু এক্সেসরিজের (বিডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাইফুল ইসলামের জাহাজ নির্মাণ, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন, ড্রেজিং ও হসপিটালিটি ক্ষেত্রে ৩৬ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জার্মানির সঙ্গে ২০০০ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (ডিব্লিউএমএসএইচএল) নামে একটি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি গঠন করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিপইয়ার্ড। ২০০২ সালে তিনি বঙ্গ ড্রেজারস লিমিটেড নামে একটি ড্রেজিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ড্রেজিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত এমসিসিআইয়ের ১১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন করা হয়। ছবি-এমসিসিআই
পুনর্নির্বাচিত জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কামরান টি. রহমান দেশের পাট ও চা খাতের একজন উদ্যোক্তা। তিনি পূবালী জুট মিলস ও কাপনা টি ইস্টেট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ২০০৭-৯ এবং ২০১৭-২১ সালে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি এবং ২০১৩ সালে এমসিসিআই’র সহ-সভাপতি ছিলেন।
টি. রহমান ২০০৯-১২, ২০১২-১৪ এবং ২০১৪-১৭ মেয়াদে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জেনেভার গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। একই সময়ে তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব এমপ্লয়ার্সের আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ এন. করিম টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। হাবিবুল্লাহ ২০০২-৩ ও ২০০৮-৯ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৯-২০২১ সালে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন, শেলটেক প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ, মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তারেক মো. আলী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসের এজাজ বিজয়, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানির পরিচালক মিজ উজমা চৌধুরী, অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সিনিয়র পার্টনার নিহাদ কবির, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেইনস করপোরেশনের পরিচালক আনিস এ খান, রহমান রহমান হকের সিনিয়র পার্টনার আদিব হোসেন খান।
পর্ষদে আরও রয়েছেন- ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম মাইনুদ্দিন, এম. জে. আবেদিন অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার হাসান মাহমুদ, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং ট্রান্সক্রাফ্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন রহমান।