বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যয়ের লাগাম টানতে সরকারের আরও পদক্ষেপ

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০৫

নতুন পদক্ষেপে পরিচালন বা রাজস্ব বাজেটের আওতায় যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে।

আড়াই বছরের করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্বের বিভিণ্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বেশ চাপের মধ্যে পড়েছে। ওলোটপালট হয়ে গেছে সব হিশাবনিকাশ। অর্থনীতির সব খাতেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বা সঞ্চয়ন ৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

এই চাপ মোকাবিলায় খরচ কমাতে সরকার আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে আরও কয়েকটি খাত যুক্ত করে আরও একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ করা ব্যয় কমাতে কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। এছাড়া ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থের বিপরীতে নতুনভাবে কার্যাদেশ দেওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে এমন ক্ষেত্রে বরাদ্দের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। পরিচালন বা রাজস্ব বাজেটের আওতায় যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে।

সরকারের বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ে বরাদ্দ থাকে। উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এসব কাজ বন্ধ বা স্থগিত করা হয়নি।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতেই (৩ জুলাই) তিনটি আলাদা পরিপত্র জারি করে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে আপ্যায়ন, ভ্রমণ ও প্রশিক্ষণ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বরাদ্দ থাকা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কমিটির সম্মানী স্থগিত করা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির নিম্ন অগ্রাধিকার প্রকল্পে আপাতত অর্থছাড় স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ৯ নভেম্বর আরেকটি পরিপত্র জারি করে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন করপোরেশন এবং রাস্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও সকল প্রকার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বলা হয়, বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে দেয়া বৃত্তি বা ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে পড়াশোনার জন্য অনুমোদন নিয়ে বিদেশ যাওয়া যাবে।

এ ছাড়া বিদেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত বা পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশে যাওয়া যাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে মহামারি পরিস্থিতি থেকে যখন বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি নেয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর