বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশি কর্মী নিয়ে রোমানিয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:২৮

 বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে আসা বেশিরভাগই ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায়। এজেন্সিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে রোমানিয়া সরকার। এ ব্যাপারে কাজ করার দরকার বলে জানান তিনি: ঢাকায় রোমানিয়ার দূত

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশের পরের সপ্তাহে ইউরোপের দেশ রোমানিয়া একটি বিশেষ সমস্যার কথা তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ঢাকায় দেশটির দূত ডেনিয়েলা সেজনোভের অভিযোগ, তার ভিসা নিয়ে আসা বেশিরভাগ বাংলাদেশি সেখান থেকে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যায়।

তিনি বলেন, ‘এজেন্সিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন রোমানিয়া সরকার। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের নজর দেয়া উচিত।’

সোমবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ কথা বলেন রোমানিয়ার দূত।

গত সপ্তাহেই দেশটি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ জনশক্তি নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে একটি দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকায় মিশন পাঠিয়ে অস্থায়ী কনস্যুলার সেবা প্রদানের আলোচনা হয়।

ডেনিয়েলা জানান, রাসায়নিক পণ্য, মেশিনারিজ যন্ত্র, জ্বালানি, ক্লিন অ্যানার্জি, সৌরবিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে অনেক এগিয়েছে রোমানিয়া। ২০২৬ সালের মধ্যে সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানও চালাবে দেশটি।

দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের তার দেশ সফরের আহ্বানও জানান রোমানিয়ার দূত।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘রোমানিয়ায় ভালো বেতনসহ কাজের সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। এতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে ‍উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের চামড়া, প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। রোমানিয়ার ব্যবসায়ীরা চাইলে এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস, প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদির পাশাপাশি আইটি খাতে ব্যাপক প্রসার হয়েছে। প্রায় ৭ লাখ মানুষ ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িত। এসব ফ্রিল্যান্সারদের আরও বেশি কাজের যোগান দেয়া গেলে বাংলাদেশের আইটি খাতের প্রসার যেমন হবে, নিয়োগকারী কোম্পানিও কম খরচে কর্মী পাবে।’

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি এম এ মোমেন, আমিন হেলালী, হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, মহাসচিব মাহফুজুল হকও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর