বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরে এক ধাপ অগ্রগতি

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৩১

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশ এফটিএ বা ইপিএ সম্পাদনের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করবে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে শিগগির আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। আজ পথচলা শুরু হলো।’

জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট-এফটিএ) স্বাক্ষরের প্রাথমিক ধাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের আগেই দেশটির সঙ্গে এই চুক্তি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সচিবালয়ে সোমবার বাংলাদেশ-জাপান এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যান্য কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যৌথ বিবৃতিতে টিপু মুনশি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে।

‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ জাপান এবং দেশটি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাপান একটি সম্ভাবনাম দেশ। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

‘এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ বা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ বা ইপিএ সম্পাদনের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করবে। ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ বা ইপিএ সম্পাদনের লক্ষ্যে শিগগির নেগোসিয়েশন শুরু করা সম্ভব হবে।

‘আজ মাত্র পথচলা শুরু হলো। এটা এতো সহজ ব্যাপার না যে দুই/চারদিনের মধ্যে শেষ করা যাবে। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে৷ আজ শুরু করা মানে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা কাজটা করব।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রকৃত ক্রাইসিস শুরু হবে ২০২৬ সালের পর থেকে। মূল টার্গেট থাকবে ২০২৬ সালের আগেই যেন আমরা দুই পক্ষ এফটিএ বা ইপিএ যেটাই হোক বিজনেস চুক্তি করা। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর যেন রপ্তানিতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়।

‘আমরা আপ-গ্রাজুয়েশনে যাওয়ার পর কোটা ফ্রি, ডিউটি ফ্রি সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা আসতে পারে। যদিও আমরা জানি জিএসপি প্লাসের একটি বিষয় আছে, যেটা ২০২৯ সাল পর্যন্ত থাকবে। তবে সেটা একটু কঠিন হবে।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২৬ সাল মাথায় রেখে এখন থেকে চুক্তিগুলো করতে হবে। হঠাৎ করে যাতে আমাদের সমস্যা না হয় সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

জাপান ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে এই চুক্তি করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভুটানের সঙ্গে চুক্তি করেছি। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে কথা চলছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করেছি। নেপালের সঙ্গে চুক্তির কাগজপত্র তৈরি হয়ে আছে। শ্রীলংকার সঙ্গেও কথা চলছে। আপাতত ভারত ও চীনের সঙ্গে সেপা করা হচ্ছে।’

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপান ও বাংলাদেশের সরকার ইপিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৬ সালে এলডিসির তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হবে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে উল্লেখ করার মতো উন্নয়ন হয়েছে।

‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশে অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। সেটি করা সম্ভব হলে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের ধারা অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর