বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনভয় টেক্সটাইলকে ১১৮ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:২১

এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট অশোক লাভাসা বলেন, এই ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই যুগ পরে এডিবি আবার বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে ঋণ দিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত এনভয় টেক্সটাইলকে

১ দশমিক শূন্য ৮ কোটি ইউরো বা ১১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি। রোববার এডিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এডিবি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই ঋণ নিয়ে এনভয় টেক্সটাইল পরিবেশবান্ধব উৎপাদন কারখানা বানাবে। এর ফলে কমপেক্ষ ২৫০টি নতুন লোকের চাকরি হবে।

এনভয় টেক্সটাইল জানিয়েছে, তারা এই টাকা নিয়ে তাদের দ্বিতীয় স্পিনিং কারখানা বানাবে। এই কারাখানা হবে খুবই আধুনিক, পরিবেশবান্ধব। এতে বছরে ৩ হাজার ৬০০ টন সুতা তৈরি হবে। এই সুতা থেকে তৈরি হবে ডেনিম কাপড়।

এনভয় টেক্সটাইল আরও জানিয়েছে, তারা ৭ বছরের জন্য এই ঋণ নেবে। প্রথম দেড় বছরে এই ঋণের টাকার কোনো অংশ ফেরত দিতে হবে না। এর পর প্রতি ছয় মাস পর পর মোট ১১টি সমান কিস্তিতে এই টাকা এডিবিকে ফেরত দেবে এনভয় টেক্সটাইল।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট অশোক লাভাসা এ বিষয়ে বলেন,‘বস্ত্র খাত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি। বাংলাদেশের রপ্তানির ৮০ শতাংশ হয় বস্ত্র খাত থেকে। এনভয় টেক্সটাইল বাংলাদেশের বৃহত্তম ডেনিম উৎপাদক। এই ঋণ এনভয় টেক্সটাইলের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া আমদানি করা কাপড়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে আর তাদের উত্পাদন পরিবেশ বান্ধব হবে।

‘আর এই ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই যুগ পরে এডিবি আবার বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে ঋণ দিল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে।’

এনভয় টেক্সটাইলের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে আমরা প্রথমবার এডিবির মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছি।’

এডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনভয় টেক্সটাইলের ৫ কোটি ২০ লাখ গজ ডেনিম কাপড় তৈরি করার ক্ষমতা আছে, যা বাংলাদেশের ক্ষমতার ১০ শতাংশ।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

২০১৯ সালে এনভয় টেক্সটাইল ৫৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা।

২০২০ অর্থবছরে মুনাফা হয় ২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় প্রতি শেয়ারে ৫০পয়সা। ২০২১ অর্থবছরে মুনাফা হয় ৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।

এনভয় টেক্সটাইলের বর্তমান বাজার মূলধন ৭৩৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর