বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চামড়া খাতে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির বড় সুযোগ রয়েছে। এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে।
বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২২’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এবারের প্রদর্শনীতে ১০টি দেশের প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠানের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং মেশিনারিজ, কম্পোনেন্ট, ক্যামিকেল এবং অ্যাক্সেসরিজ থাকছে। তিনদিনের এই প্রদর্শনীটি শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর।
অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, শুধু চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্যের মান ও দামের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। শুধু বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে গেলেই হবে না, ক্ষুদ্র ও মাঝারির প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে নিতে হবে।
এলএফএমইএবি সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এই শো-তে অংশগ্রহণকারী কম্পোনেন্ট নির্মাতাদের বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব কারখানা বা উৎপাদন সুবিধা নিশ্চিতে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই ইভেন্টটি যন্ত্রপাতি, কেমিক্যালস ও আনুষাঙ্গিক উপাদান সোর্সিংয়ের সমস্যাগুলোর সমাধানকারী হিসেবে সহায়তা করছে।
এ ট্রেড শো’তে বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং ফুটওয়্যার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারি, কম্পোনেন্ট, ক্যামিকেল এবং অ্যাকসেসরিজ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রযুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ভারত থেকে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস (সিএলই) এবং ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইফকোমা) প্যাভিলিয়নসহ ১০টি দেশের প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনের অংশ নিচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দশ বছরের একটি পরিকল্পনা করেছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া খাতের রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন থেকে ১০-১২ বিলিয়নে উন্নীত করার লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকার আগামী ৯ বছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় দশগুণ বাড়াতে চায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি প্রায় ১৮% বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
আয়োজক সংস্থা আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ কমেছে। তবে প্রায় ৩ বছরের ব্যবধানে এ আয়োজনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মেশিনারি সরবরাহকারীরা অংশ নিচ্ছেন। এই প্রদর্শনীর প্রোফাইলটি ব্যাপক। তিনদিনের শো’তে বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতি স্থানীয় শিল্পকে উপকৃত করবে।
লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২২ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করছে লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ টেনারস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।