গ্রিন ও সার্কুলার ইকোনমি খাতে আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের সঙ্গে কাজ করতে চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। গ্যাবন সরকার আয়োজিত ‘গ্যাবনে বিনিয়োগ- জলবায়ু ও টেকসই অর্থায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এ কথা জানান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।
যুক্তরাজ্যে চলমান কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনে বুধবার এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে গ্যাবন সরকার।
এতে অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সার্কুলার ইকোনমি এবং গ্রিন ইকোনমি, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্দর উন্নয়ন, অটোমেশন, বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থা এবং ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন জলবায়ু এবং টেকসই অর্থায়ন অর্জনে ভূমিকা রাখবে।’ সম্পদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গ্যাবনের সহযোগী হিসেবে কাজ করার বিষয়ে ইচ্ছার কথা জানান তিনি।
বৈঠকে জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিশ্ব আজ জলবায়ু, জীববৈচিত্র্যগত ঝুঁকি এবং চরম অর্থনৈতিক সমস্যাসহ ত্রিমুখী সংকটের মুখোমুখি। এ অবস্থায় সমাজ, অর্থনীতি এবং ইকোসিস্টেমকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য পরবর্তী দশ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘নতুন ও উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
তিনি রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ১০০ বছরের ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে পৌঁছতে বাংলাদেশে আরও বেশি স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং তথ্য বিশ্লেষণ ভিত্তিক উৎপাদন পদ্ধতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
সবুজ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে উদ্ভাবনী নীতি-কৌশল হাতে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে কমনওয়েলথ দেশগুলোকে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। গত মঙ্গলবার লন্ডনে আয়োজিত কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) এক সভায় তিনি এই আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, এফবিসিসিআই সিডব্লিউইআইসির একটি কৌশলগত অংশীদার এবং মো. জসিম উদ্দিন এর গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের একজন অন্যতম সদস্য।