বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের বাড়ল এলপিজির দাম

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৪২

বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এলপিজির ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। সেই হিসাবে এখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫১ টাকার জায়গায় হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ টাকা।

টানা দ্বিতীয়বার দেশে বাড়ল রান্নায় ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। সেই হিসাবে এখন ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫১ টাকার জায়গায় হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ টাকা।

ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোববার নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সচিব খলিলুর রহমান খান, সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি, আবু ফারুকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিইআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নভেম্বর মাসের জন্য প্রতি টনে সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি কনট্রাক্ট প্রাইস (সিপি) ৬১০ ডলার। ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে ৬৫০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন ও বিউটেনের ৩৫:৬৫ অনুপাত অনুযায়ী প্রতি টনে গড় সৌদি সিপি ৬৫০ ডলার বিবেচনায় নতুন দর নির্ধারণ করেছে কমিশন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, গত মাসের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি জানান, ১৬টি প্রতিষ্ঠানের এলসি সেটেলমেন্টের ভিত্তিতে ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৫ টাকা ২২ পয়সা, যা গত মাসের তুলনায় ১ টাকা ৩ পয়সা কম। গত মাসে ছিল ১০৬ টাকা ২৫ পয়সা।

এর আগে নভেম্বরে ও কেজি প্রতি ৪.২৫ টাকা দর বাড়ে এলপিজির। ১২ কেজির সিলিন্ডার ১২শ টাকা থেকে বেড়ে দাড়ায় ১২৫১ টাকা। অক্টোবরে যা ছিল ১২০০ টাকা।

টানা কয়েকমাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মে মাসে থেকে কমতে থাকে এলপিজি গ্যাসের দাম। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাড়ন্ত গ্যাসের দাম এপ্রিলে (১২ কেজি) গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৩৯ টাকায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এ বছর।

এপ্রিল মাসে (সৌদি আরামকো) সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রোপেন ৯৪০ বিউটেন ৯৬০ ডলার। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি বাংলাদেশে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানিটি।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল, আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্য কমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।

এলপিজি আমদানিকারকরা অপরেশনাল কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে ১১টি কোম্পানি বিইআরসিতে লিখিত আবেদন দেয়। তাদের দাবি হলো, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় জাহাজ ভাড়া বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ রুটেও ভাড়া বেড়েছে।

সম্প্রতি কমিশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে তারা। সেখানে গণশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানিগুলো আবেদন জমা দিলেই গণশুনানি গ্রহণ হবে।

এ বিভাগের আরো খবর