বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামর্থ্যবানদের অনেকে দিচ্ছেন না আয়কর: এনবিআর

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:০২

‘বর্তমানে দেশে টিআইএন-ধারীর সংখ্যা ৮৩ লাখ। অথচ গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার। দেশে আয়কর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ, বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়ে গেছে।’

দেশে আয়কর দিতে সক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তবে এর বড় একটি অংশ করের আওতার বাইরে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সদস্য (আয়কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড ইনকাম ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিসিসিআই বিগত বছরের ন্যায় এ বছর ‘ট্যাক্স গাইড ২০২২-২৩’ প্রকাশ করেছে। এতে আয়কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস আইনের বিস্তারিত বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে।

ডিসিসিআিই বলেছে, এই গাইডটি চেম্বারের সদ্যেসের পাশাপাশি দেশের সকল ব্যবসায়ীর কাজে লাগবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য জাহিদ হাসান বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় নীতি ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। আর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা অব্যাহত থাকবে।

নিবন্ধনের চেয়ে করদাতার সংখ্যা কম, এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে টিআইএন-ধারীর সংখ্যা ৮৩ লাখ। অথচ গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার। এটি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়।

‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু সেবা গ্রহণে রিটার্ন-এর সাথে প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে আশা করা যাচ্ছে রিটার্নের সংখ্যা অনেক বাড়বে। আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এনবিআর সকল কার্যক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর উপর জোর দিচ্ছে। এর ফলে জনগনের ভোগান্তি কমবে এবং রাজস্ব আহরণের হার বৃদ্ধি পাবে।’

দেশে আয়কর প্রদানে সক্ষম লোকের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ, এমন তথ্য জানিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ‘বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়ে গেছে। কর-জাল সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সারাদেশে কর অঞ্চলের অফিস বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে করদাতার সংখ্যা আরও বাড়বে।’

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘কোম্পানীর রাজস্ব ব্যবস্থাপনার জন্য আয়কর ও ভ্যাট সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা অপরিহার্য। এটা জানা থাকলে একজন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সফলভাবে পরিচালনা ও কৌশল নির্ধারন সহজ হয়।

‘চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কর-জাল বৃদ্ধির জন্য ৩৮টি ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্যাটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, স্থানীয় পর্যায়ে কেমিক্যাল উৎপাদনে ৬ শতাংশ ভ্যাট ছাড়, মূসক ফরমে পরিবর্তন এবং কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই অবগত থাকতে হবে।’

রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে করদাতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক।

কর্মশালায় দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড এনবিআর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ুয়া ও যুগ্ম-আহবায়ক এমবিএম লুৎফুল হাদী।

এ বিভাগের আরো খবর