বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও কমছে না দাম। ফুলকপি, মুলা, বেগুন ও পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। শীতকালীন সবজির মৌসুমেও সবজির এমন দামকে চড়া বলছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, দাম কমেছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি আমদানির শুরুর দিকে প্রতি পিস বিক্রি হতো ৬০ টাকায়। এখন সেটা ৩০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে বাঁধাকপি এখনও ৫০ টাকার ওপরে। কোথাও ৫০ টাকা পিস আবার কোথাও ৬০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ক্রেতা নাসিমা চৌধুরী বলেন, ‘এখনও বাঁধাকপির দাম ৫০ টাকা! তাহলে দাম আর কোথায় কমল? শুধু শীতকালীন সবজি নয়, সব জিনিসের দামই বেশি।’
বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, মরিচ ৪০ টাকা, টম্যাটো ১০০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে।
এসব সবজির দাম গত ১৫ দিন আগেও যেমন ছিল তেমনই রয়েছে।
তবে বিক্রেতা শাওন দাবি করেন সবজির দাম কমেছে। তিনি বলেন, ‘পেঁপে, ফুলকপি- এগুলোর দাম তো কমছে, আর কত কমবে?’
অনেকটা চড়া দামেই কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
আরেক বিক্রেতা আলী রিয়াজের দাবি সবজির দাম কমেছে। পটোল, বেগুনের মতো সবজির দাম কেন কমেনি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো শেষ হয়ে যাবে, মৌসুম শেষ, তাহলে কীভাবে দাম কমবে?’
কথা হয় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাক্তার ফয়সাল ইমনের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও সেরকমভাবে দাম কমেনি। ফুলকপি ও শিম কিছুটা কমেছে, বাকি সব সবজির দামি অনেক বেশি।’
বিক্রেতা মো. বাদশা জানান, কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া আদার দাম কিছুটা কমে দেশি আদা ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থেকে দেশি রসুন ৬০ এবং চায়না রসুন ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। এ ছাড়া অপরিবর্তিত থেকে ব্রয়লার ১৪৫ থেকে ১৫০, লেয়ার ২৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতা ইয়াসিন।