বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুল সিদ্ধান্তের দায় নিলেন না বিএসইসি কমিশনার

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০৯

শেখ শামসুদ্দিন বলেন, ‘আইপিও প্রক্রিয়ার সব আইনকানুন পরিপালন করতে হবে। অনেক বিষয় আছে, যা ডকুমেন্ট দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। এ বিষয়গুলো ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝতে হয়। আরও দেখতে হয় কোম্পানির পরিচালকদের অন্য কোনো কোম্পানি আছে কি না, সে কোম্পানিগুলোকে তারা কীভাবে পরিচালিত করছেন।’

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্তের দায় অডিটরদের বলে জানালেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংস (আইপিও): প্রসেসেস অ্যান্ড প্রসিডিউরস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনীতে বুধবার তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজার কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি।

বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘অনেক সময় অডিটরদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ এই জিনিসগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আইপিও প্রসেসটাকে ডিজিটালাইজড করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আইপিও প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নে বিএসইসি বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের চেষ্টা করছে বলে জানান শেখ শামসুদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটালাইজেশন ফিনটেক টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এ জন্য সরকারের ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গেছে। আশা করা যাচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যে ফান্ডটি পাওয়া যাবে৷ বিএসইসি সে ফান্ড নিয়ে পুরো আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কাজ করবে।’

কোম্পানির তথ্য ঘাটতি আইপিও প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে জানিয়ে বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘অনেক সময় আইপিও অনুমোদনের জন্য কালক্ষেপণ হয়। এ জন্য বিএসইসি ও ডিএসই দায়ী থাকে না। কোম্পানির তথ্য ঘাটতির জন্য মূলত এটি হয়ে থাকে।’

আইপিও প্রক্রিয়া মূল্যায়নের জন্য ইএসজি রিপোর্টিংয়ের মতো নতুন নতুন নির্দেশিকা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেখ শামসুদ্দিন বলেন, ‘আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন ডকুমেন্ট কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই ডকুমেন্ট তৈরিতে কমিশনের কোনো হাত নেই। কমিশন অডিটরদের অডিট রিপোর্টকে পর্যাপ্ত ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

শেখ শামসুদ্দিন বলেন, ‘আইপিও প্রক্রিয়ার সব আইনকানুন পরিপালন করতে হবে। অনেক বিষয় আছে যা ডকুমেন্ট দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। এ বিষয়গুলো ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে বুঝতে হয়। আরও দেখতে হয় কোম্পানির পরিচালকদের অন্য কোনো কোম্পানি আছে কিনা, সে কোম্পানিগুলোকে তারা কীভাবে পরিচালিত করছেন।’

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন ৪টি বিষয় খেয়াল রাখা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইস্যুয়ার প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা কেমন ও তাদের মানসিকতা কী, আইপিওতে বিনিয়োগকারীর বিভিন্ন বিষয় জানা, কোম্পানিটি কোনো রেগুলেটরি ক্রাইসিস তৈরি করবে কিনা সেটি লক্ষ রাখা এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না করার বিষয়ে খেয়াল রাখে কমিশন।’

প্রশিক্ষণার্থীদের তিনি বলেন, ‘কর্মশালার মাধ্যমে যে সব বিষয় শিখছেন, তা শুধুমাত্র শেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করে ভালো কোম্পানিগুলোকে কমিশনের কাছে নিয়ে আসবেন। ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেই পুঁজিবাজার ও দেশের কল্যাণ হবে।’​

অনুষ্ঠানে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদার, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির প্রধান সৈয়দ আল আমিন রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রসপেক্টাস মূল্যায়নে বিএসইসি এবং এক্সচেঞ্জগুলোর ভূমিকা, রেড-হেয়ারিং প্রসপেক্টাসের বিশেষত্ব, প্রসপেক্টাসের প্রয়োজনীয়তা ও বিষয়বস্তু, সংক্ষিপ্ত সংস্করণ, মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং আর্থিক বিবৃতি মূল্যায়ন, প্রসপেক্টাসের যাচাই-বাছাই পদ্ধতি, ভেটিং পদ্ধতি, আবেদনপত্রের প্রয়োজনীয়তা এবং বিষয়বস্তু, সিকিউরিটিজ বিতরণ প্রক্রিয়া, লক ইন বিধান, ডিফল্ট এবং শাস্তিমূলক বিধানের পরিণতি এবং আইপিও অনুমোদন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম৷

এ বিভাগের আরো খবর