বাংলাদেশের রিসাইক্লিং শিল্পে বিপুল বিনিয়োগে আগ্রহী রিকভার। রিকভারের নির্বাহী চেয়ারম্যান বেনজামিন জোসেফ মালকা এ কথা জানান।
কম প্রভাব রেখে উচ্চমানের রিসাইকলড কটন ফাইবার এবং ফাইবার মিশ্রণের একটি বৈশ্বিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- রিকভার।
রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বুধবার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে বেনজামিন জোসেফ মালকা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রিকভারের প্রধান ব্যবসা উন্নয়ন কর্মকর্তা আলেজান্দ্রো রানা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা বাংলাদেশে টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ এবং রিকভারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দেশকে রিসাইক্লিংয়ের বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত করাই তাদের লক্ষ্য।
দেশে রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশের বিষয়ে আশাবাদী কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দেশের পোশাক পণ্যের ৭৫ শতাংশই কটনভিত্তিক। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ টন পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য উৎপাদিত হয়; যার কেবল ৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে পুনর্ব্যবহৃত হয়।
রিকভারের নির্বাহী চেয়ারম্যান বেনজামিন জোসেফ মালকা বলেন, ‘রিকভার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রিসাইক্লিং শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। রিসাইক্লিং সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প বিকাশের একটি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। টেক্সটাইল বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কটন আমদানি কমাতে পারি। প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফাইবার দিয়ে পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করতে পারি।
‘বাংলাদেশের পোশাকশিল্প লিনিয়ার ইকোনমিক মডেল থেকে চক্রাকার অর্থনীতির দিকে মোড় নিয়েছে। কারণ একটি চক্রাকার ফ্যাশন সিস্টেম বাংলাদেশের জন্য শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং এটি দেশের আর্থিক সুবিধাও বয়ে আনতে পারে।’