দেশীয় মুদ্রা টাকায় চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিদেশি এবং দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এমন নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব অথোরাইজড ডিলার ব্যাংককে জানিয়েছে। বলা হয়েছে, ডলার সংকটের কারণে এমন সিদ্ধান্ত।
‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ এলাকায়’ দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানও এ ঋণ নিতে পারবে। ঋণের শর্ত হলো, এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের কোনো উৎস থাকতে পারবে না। অর্থাৎ যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদেশি মুদ্রা আয়ের সুযোগ রয়েছে, তারা বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় ঋণ নিতে পারবে না।
এর আগে ২০২০ সালে এসব প্রতিষ্ঠানকে টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে লেনদেনের সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ এলাকায়’ প্রতিষ্ঠিত টাইপ-এ ও টাইপ-বি শ্রেণির শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্যের প্রচারের জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে টাকায় চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে পণ্য উৎপাদনের জন্য পৃথক একটি শিল্প এলাকা নির্ধারণ করা আছে; যা ‘অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ এলাকা’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির সুযোগ নেই। তবে এখানে দেশি, বিদেশি, সরকারি মালিকানার প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনিয়োগ করতে পারে।
এর মধ্যে টাইপ-এ ক্যাটাগরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানার প্রতিষ্ঠান। আর টাইপ-বি ক্যাটাগরি হচ্ছে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথ অংশিদারিত্বের শিল্প প্রতিষ্ঠান।