বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম সরাসরি বাড়াতে পারবে সরকার  

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৩

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ছোট সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।’

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পাশাপাশি সরকারের কাছেও আসছে।

এ-সংক্রান্ত বিধান রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২২-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘একটি ছোট সংশোধন আনা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।

‘এখন বিইআরসি এগুলো সব হ্যান্ডেল করে। কিন্তু বিইআরসির কিছু কিছু জায়গায় একটু সমস্যা হয়। যেমন ৯০ দিন পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত না দিয়েও থাকতে পারে। কারণ আইনে বলা আছে, বিইআরসি ৯০ দিনের মধ্যে এগুলো সব শুনানি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। অনেক সময় আমাদের জরুরি প্রয়োজন আসে। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় তারা সঠিকভাবে সমন্বয় করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, যেমন এখন ধরুন ৯০ দিন সময় নিয়ে তারা শুনানি নেয়। একটা ইমার্জেন্সি এলো। আবার অনেক সময় দাম কমে গেল। কিন্তু বিআরসি ৯০ দিন ধরে দাম কমাবে। সরকার হস্তক্ষেপ করে একটা নোটিফিকেশন দিয়ে দাম কমিয়ে আনতে পারবে।

‘স্বাভাবিকভাবে দাম সমন্বয়ের কাজ বিইআরসি-ই করবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে।’

বেসরকারি খাতে জ্বালানি আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ

সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্বালানি আমদানি করা যায় কিনা তার পথ খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুটি অপশন- তারা এনে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করলে কি বেটার হবে? এখন যে আইন আছে সে অনুযায়ী তারা ক্রুড অয়েল আনবে। এনে তারা যদি রিফাইন করে? এখন তো বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না। সাধারণত ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিয়ে দিলো। অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে যেটা করতে হবে সেটা হলো, ক্রুড অয়েল রিফাইন করার পর বিটুমিনসহ অন্যান্য উপজাত পণ্য আসবে। এগুলো হয় তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।

‘তবে রিফাইনড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। অথবা অন্য কোনো ম্যাকানিজম কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে যেটা রিফাইনড হলো সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা।’

এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও খুব শিগগির একটি সিদ্ধান্তে যেতে মন্ত্রিসভা নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ বিভাগের আরো খবর