পোশাক শিল্পে বিদ্যুতের যে সমস্যা ছিল, তা প্রায় কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হয়েছে, আশা করছি শিগগিরই গ্যাস সংকটও নিরসন হবে।’
শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে গ্যাস আমদানি করবে। এ গ্যাস আসা শুরু হলেই পোশাক কারখানায় জ্বালানির সমস্যা দূর হবে।’
তিনি বলেন, ‘পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক যে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান হয়েছে। কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত আছে। আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়েছিল, তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছিল একটা সময়। এখন চারটি স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। বলতে পারি রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও আর কোনো জটিলতা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে ১৮ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সপ্তাহব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইকের’ উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ-এর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাত দিনব্যাপী মেগা ইভেন্ট “মেইড ইন বাংলাদেশ উইক” গত ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর উদযাপন করেছি। এই ইভেন্টের থিম ছিল “কেয়ার ফর ফ্যাশন”। এই ইভেন্টের বিভিন্ন দিক আপনাদেরকে অবহিত করতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।’
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। ছবি: নিউজবাংলা
ফারুক হাসান বলেন, ‘সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন এবং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল।
‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, পোশাক শিল্প এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা; বিশেষ করে শিল্পের যে প্রকৃত রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে এ শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা।
‘দ্বিতীয়ত, রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ তৈরিতে শিল্পের সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত নেওয়া।
‘তৃতীয়ত. সরকার, ব্র্যান্ড-ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সেসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা।’