বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতির পথে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:৫৫

বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ’ সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরেও কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার ওপর আলোকপাত করে এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।

ট্রিলিয়ন ডলার বা লাখ কোটি বা এক হাজার বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪৬৫ বিলিয়ন বা ৪৬ হাজার ৫০ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতের উপর ভর করে ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে এই অর্থনীতিই এক ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার প্রকাশিত ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ’ সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরেও কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার ওপর আলোকপাত করে এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।

শুক্রবার রাজধানীর ওয়েস্টিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে অপ্টিমিস্টিক আউটলুক (দৃঢ় আশাবাদ), গিগ ইকোনমি (ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খণ্ডকালীন কাজ), ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, তরুণ ও ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা (হাই ইকোনমিক রেজিলিয়্যান্স), ডিজিটাল মাধ্যমের বহুল ব্যবহার, সরকারি উদ্যোগ এবং একটি বৃহৎ, সু-সংগঠিত বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

‘ব্যবসায়িক কমিউনিটি, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত সম্প্রসারণে প্রবৃদ্ধিশীল ভোক্তা বাজার, সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে ক্রমবর্ধমান গিগ ইকোনোমি, সাথে ডিজিটাল রূপান্তর এবং সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করে চলেছে।’

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। মূল বক্তা ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের করপোরেট কমার্শিয়াল ব্যাংকিং-এর বাংলাদেশের প্রধান রিয়াজ এ চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হ্যান্স-পল বার্কনার, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের জ্যেষ্ঠ অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির, প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শৈবাল চক্রবর্তী ও বোস্টন কলসাল্টিং গ্রুপের অংশীদার তৌসিফ ইশতিয়াক।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এখন আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপকে এ ধরনের সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানাই, যেখানে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার চিত্র উঠে এসেছে।’

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস হ্যান্স-পল বার্কনার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য আদর্শস্থানীয়। এই দেশ ইতোমধ্যে অনেক কিছু অর্জন করেছে। বিশেষ করে দেশের বেসরকারি খাতের অপরিসীম অবদানের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর রূপান্তর এবং দেশের বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান এ গতিকে ত্বরান্বিত করেছে।’

‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় বেসরকারি খাতের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে রূপরেখা আমাদের সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে।’

জারিফ মুনির বলেন, ‘এ প্রতিবেদন নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। পাঁচ-সাত বছর আগে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে; অন্যদিকে বেসরকারি খাত থেকে চ্যাম্পিয়নরা উঠে এসেছে, যাদের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে—পরিণত হবে লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে। আমাদের উদীয়মান চ্যাম্পিয়নদের বৈশ্বিকভাবেও বিস্তৃতির লক্ষ্য রয়েছে এবং এক্ষেত্রে তাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র হবে; সবসময় রূপান্তরে প্রাধান্য দেয়া, সামাজিক প্রভাবসহ আরও অনেক বিষয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চ্যাম্পিয়নদের জন্য (করপোরেট খাতের ইকোসিস্টেম–সংশ্লিষ্ট অংশীজন) অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে, যেন জাতীয় কর্মসূচি ও ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তারা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এ বিভাগের আরো খবর