বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে নারী ও পুরুষদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হলে নারীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় রেডিসন ব্লু হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন এন্ট্রোপ্রেনার্স সামিটের দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নারীরা অনেক এগিয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উপস্থিতি পুরুষের প্রায় সমান। ফলাফলে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তারা। সব কর্মক্ষেত্রেই এখন নারীদের সরব উপস্থিতি।
‘দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে না নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নারী সমাজকে সহযোগিতা করা। নারীদের কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। সুযোগ দিতে হবে। সারা বিশ্বেই নারীরা পুরুষের সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দায়িত্ব সবার সমান। নারীকেও নিজ প্রচেষ্টায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
হার স্টোরি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জেরিন মাহমুদ হোসেইনের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুপালী চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কয়ার গ্রুপের ডেপুটি ডিরেক্টর অনিকা চৌধুরী, টাইগার নিউ এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকোলে জিংওয়েন মাও, সেভেন রিং সিমেন্টের পরিচালক অরুশা খান ও ওয়ান্ডার উইমেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিরা মেহরিন।