বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই বছরে ১২ কোটি মানুষকে কানেক্ট করবে হুয়াওয়ে

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ২২:২৯

অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ে অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা। সেখান থেকে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ে অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা। সেখান থেকে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার২কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি প্লাস: ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট অনুষ্ঠানে বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছেন হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া।

কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরান্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের টেলিকমমন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম ও জার্মানি থেকে অংশীদার, বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও এই অনুষ্ঠানে স্বশরীরে ও অনলাইনে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ে অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা। সেখান থেকে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

লিয়াং হুয়া বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগবিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।’

তিনি বলেন, ‘ক্লাউড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে একত্রে কানেক্টিভিটি প্রত্যেককে ডিজিটাল জগতে আনতে সাহায্য করবে এবং তাদের আরও তথ্য ও দক্ষতা এবং উন্নত পরিষেবা ও বৃহত্তর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান করবে। এর ফলে আরও সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’

বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সব মানুষকে কানেক্টিভিটির সুবিধায় নিয়ে আসা। শিক্ষা, শিল্প, টেক্সটাইলসহ প্রতিটি খাতে কানেক্টিভিটির ভূমিকা অপরিসীম; তাই আমরাও এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং সব অংশীজনের সহযোগিতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবে পরিণত করতে পারব বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’

চীনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি নীতিনির্ধারকদের বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে, বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের ডিজিটাল ব্যবধান দূরীকরণে ‘বাস্তবসম্মত চিন্তা’ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান গতিশীল বিশ্বে জরুরিভাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করতে, লৈঙ্গিক ব্যবধান দূর করতে, সবুজ বিশ্বকে উৎসাহিত করতে এবং আমাদের বিশ্বকে আরও সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নতুনভাবে ডিজাইন করতে প্রযুক্তির রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার জন্য উন্নত ডিজিটাল সহযোগিতার প্রয়োজন। তাই সবার সম্মিলিত প্রয়াসের এখনই সময়।’

আইসিটি অবকাঠামো বিকশিত হচ্ছে ক্লাউড এবং এআইয়ের মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলো গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা মানুষদের ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ দিচ্ছে। হুয়াওয়ে ক্লাউড একটি পরিষেবা কৌশল হিসেবে সবকিছুর প্রস্তাব করেছে এবং ক্লাউড পরিষেবার মাধ্যমে হুয়াওয়ে এর ৩০ বছরেরও বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং ডিজিটাল রূপান্তরের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।

অর্থাৎ ক্লাউডে হুয়াওয়ের ডিজিটাল অবকাঠামোর সক্ষমতার ব্যবহার এখন অনেক সহজ, সাশ্রয়ী এবং টেকসই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল ট্যালেন্ট এবং নতুন ব্যবসায়িক মডেল সবই অপরিহার্য।

হুয়াওয়ে এর আগে জানিয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে এবং পাঁচ লাখ মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রদানে সক্ষম করে তুলতে সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হুয়াওয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর চলমান প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নতমানের ডিজিটালাইজেশনে অবদান রাখছে; যা প্রত্যেককে ডিজিটাল জীবনের সুবিধা উপভোগ করতে সক্ষম করবে এবং বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতির ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করবে।

এ বিভাগের আরো খবর