বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে ভারতের আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি তার রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, এটি তার সরকারেরও চাওয়া।
আসামের রাজনীতিক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ উপকৃত হতে পারে।
রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মিন্টু রোডে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আসামের স্পিকার। এ সময় তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়ে থাকে জানিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলবন্দর রয়েছে। এগুলো দিয়ে আমদানি-রপ্তানি আরও বৃদ্ধি সুযোগ রয়েছে। পানি পথেও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
‘বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী ভারত। তৈরি পোশাক কারখানা ও দক্ষ জনবল তৈরিতে আসাম রাজ্য বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করছে।’
স্পিকার বিশ্বজিতের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের বিধান সভার ৩৩ জন বিধায়কসহ ৬২ জনের প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
বিশ্বজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বড় বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল, আগামীতেও সেভাবে থাকবে বলেও জানান তিনি।
ভারতকে বাংলাদেশর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসামসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিযোগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে সেভেন সিস্টারখ্যাত এ অঞ্চলগুলোতে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক, জামদানিসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য ভারতে জনপ্রিয় রায়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাণ কোম্পানির পণ্য ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ আশা করছে, আসামসহ সেভেন সিস্টারখ্যাত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য উভয় দেশের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের দক্ষতার কথা উল্লেখ করে আসামকে বাংলাদেশের প্রশিক্ষক নিয়ে তাদের কর্মীদের দক্ষ করে তোলার পরামর্শও দেন মন্ত্রী।