বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের আরও ২ প্রতিষ্ঠানকে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:২৬

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘গাজীপুরের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে প্লাটিনাম রেটিং। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের বর্ণালী কালেকশন লিমিটেড পেয়েছে গোল্ড রেটিং। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৮টি, যা একটি রেকর্ড।’

বাংলাদেশের আরও দুটি কারখানাকে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের সবুজ বা পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৮টি, যা একটি রেকর্ড।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে শনিবার বলেন, ‘এ বছর শুধু প্লাটিনাম রেটিং পেয়েছে বাংলাদেশের ১৩টি পোশাক কারখানা, যা বাংলাদেশের জন্য একটি রেকর্ড।

‘পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাক কারখানা ভবনে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৫৮টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৬টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। এ ছাড়া চারটি কারখানা কোনো রেটিং না পেলেও সনদ পেয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি এই কারখানাগুলোকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।’

মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘নতুন করে সবুজ কারখানার সনদ পাওয়া দুই কারখানার মধ্যে একটিকে দেয়া হয়েছে প্লাটিনাম রেটিং। আরেকটি পেয়েছে গোল্ড রেটিং। গাজীপুরের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডকে ১৭ নভেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউএসজিবিসি। প্লাটিনাম রেটিং পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিকে ৮৫ পয়েন্ট দিয়েছে সংস্থাটি।’

‘নারায়ণগঞ্জের বর্ণালী কালেকশন লিমিটেডকে ২৮ অক্টোবর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। গোল্ড রেটিং পাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ৬৪ পয়েন্ট।’

আরও ১২টির মতো কারখানা পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড) সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস ১১০-এর মধ্যে ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

সংস্কার, পারফরমেন্স, জ্বালানি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি দেয় ইউএসজিবিসি।

২০১৩ সালে রাজধানীতে রানা প্লাজা ভবন ধসে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণ হারান এক হাজার ১৩৪ জন। সে ঘটনার পর সবুজ উদ্যোগে প্রচুর বিনিয়োগ শুরু করেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

২০১৪ সালে সবুজ কারখানা স্থাপন করা হয় আরও তিনটি। ২০১৫ সালে হয় ১১টি। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে স্থাপন করা হয় যথাক্রমে ১৬, ১৮ ও ২৪টি। ২০১৯ সালে আরও ২৮টি সবুজ কারখানা গড়ে তোলেন উদ্যোক্তারা।

এ ছাড়া ২০২০ ও ২০২১ সালে ২৪টি করে আরও ৪৮টি কারখানা গড়ে তোলেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা এখন ১৭৮টিতে দাঁড়িয়েছে। আরও কয়েক শ পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা হতে ইউএসজিবিসির অধীনে কাজ করছে।

এ বিভাগের আরো খবর