কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। এরপর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর দেখানো হবে ভিডিওচিত্র।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানেরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনটি কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে বাদলপুরা ও শাহ মীরপুরে অবস্থিত। বেজার কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে এই ড্রাইডকটি প্রতিষ্ঠা করেছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। নির্মাণ ব্যয় হিসেবে বিশ্বব্যাংক এতে ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
ড্রাইডকটির দৈর্ঘ্য ২৮৫ মিটার এবং প্রস্থ ৫৬ মিটার। এই ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা যাবে। ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি ড্রাইডকের নির্মাণকাজও চলছে।
এই অর্থনৈতিক জোনে দুটি জেটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। জেটিতে আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে, নিয়মিত চলছে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজের জট কমাতে ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে বহির্নোঙরের জাহাজ অপেক্ষার সময় কম হওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
এই জেটিতে ১৭০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২টি জাহাজ একসঙ্গে পণ্য খালাস ও দিনে অন্তত ৬ হাজার টন ও মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার টন পণ্য খালাস করতে পারে।
এই ইকোনমিক জোনের আওতায় আরও দুটি জেটি ও কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ২০ দশমিক ৯৮ একর জমি বেজার মাধ্যমে লিজ নেয়াসহ কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের নিজস্ব জমিতেও আরও দুটি জেটি নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন একযোগে আটটি ভেন্যু থেকে অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো গণভবন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের আনোয়ার কর্ণফুলী ড্রাইডক এসইজেড, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুরের জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দি অর্থনৈতিক অঞ্চল।