নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে স্বল্প আয়ের মানুষদের কথা মাথায় রেখে সরকার যে খাদ্য বিতরণ করছে, তার মধ্যে চালের পর এবার বাড়ানো হলো আটার দাম। খোলা আটা কেজিতে ছয় টাকা আর প্যাকেটে ভরা এই খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে সাড়ে চার টাকা করে।
খোলাবাজারে বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় এতদিন খোলা আটা বিক্রি করা হতো ১৮ টাকা কেজি করে, এখন থেকে কিনতে হবে ২৪ টাকা করে।
এতদিন প্যাকেটজাত ২ কেজির প্যাকেটের দাম ৪৬ টাকা থাকলেও এখন থেকে দিতে হবে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দাম পুনর্নির্ধারণ করে বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। নতুন এ দাম আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।
গত এক বছরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দামে যে লাফ দিয়েছে, তার বাইরে নয় বাংলাদেশ। সরকারি বিপণন কোম্পানি ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ বা টিসিবির হিসাবে গত এক বছরে খুচরা পর্যায়ে আটার দাম কেজিতে ৭৯ শতাংশ বেড়েছে।
এক বছর আগে খুচরা পর্যায়ে যে টাকা কেজিতে ৩৩ টাকা দরে পাওয়া যেত, তার দর এখন ৬০ টাকা। এক বছর আগের ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরের প্যাকেটজাত আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থকে ৭০ টাকা করে এবং এই দর ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখি। গত এক মাসেও দর বেড়েছে ৭ থেকে ৯ শতাংশ।
সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে যে চাল বিক্রি করত, সেটির দামও বাড়ানো হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে মাসে প্রতি পরিবারের কাছে ৫০ কেজি চাল বিক্রির এই কর্মসূচি শুরু হয়। পাঁচ বছর পর গত সেপ্টেম্বর থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৫ টাকা করে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
আটার মতো যে কেউ এই চাল কিনতে পারেন না। এই চাল বিক্রির জন্য আলাদা তালিকা করা হয়েছে।
আটার মতো অতটা না হলেও গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে অনেকটাই। টিসিবির হিসাবে এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি।
সরকার চিনির দামও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন উৎপাদিত প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ টাকা থেকে করা হয়েছে ৯৯ টাকা।