বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানি বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৩০

টিপু মুনশি বলেন, ‘এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানির সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করা।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা আসবে রপ্তানি খাতে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের পর এলডিসির তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে বাংলাদেশ। এই উত্তরণকালীন প্রস্তুতি নিতে ইআরডির আওতায় সাপোর্ট অফ সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এই সেমিনারে পণ্য প্রবেশে অগ্রাধিকার এবং বিনিয়োগ ও রপ্তানির বহুমুখীকরণ শীর্ষক দুটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি বলেন, ‘রপ্তানির সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করা। এ জন্য পিটিএ ও এফটিএ চুক্তি স্বাক্ষরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

‘বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন বিধিবিধানের আলোকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘সক্ষমতা বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩০ সালের আগেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে পারব আমরা।

‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এ জন্য নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু বড় বাজার রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত একটি বড় বাজার। সেখানেও রপ্তানি বাড়ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।’

রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি পণ্যের ওপর রপ্তানি খাতকে ধরে রাখা ঠিক হবে না। আয় বাড়াতে হলে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বেশ কিছু ইপিজেডের কাজ শেষ পর্যায়ে। কিছু ইপিজেডে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

‘বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হচ্ছে। আমাদের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে উদ্যোক্তারা এদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হবে।’

সেমিনারে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্পেনিয়ার ও র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

দ্বিতীয় অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর