বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সচিবালয়ে বুধবার দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এস ঈশ্বরন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৬টি খাত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, বস্ত্র ও পোশাক, কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবহন সরঞ্জাম, ডিজিটাল অর্থনীতি ও শিক্ষাসেবা রয়েছে।
এ ছাড়া এতে দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত এফটিএ সইয়ে আলোচনা পরিচালনার কৌশল গ্রহণের বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটি বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে সরকার।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি (উন্নয়ন) দুই দফা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব সভায় বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সহযোগিতা সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সমঝোতা সইয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
এতে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে রপ্তানি ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং এফটিএ সম্পাদনের লক্ষ্যে শিগগির আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।