বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋণ আদায়ে তহবিল ব্যয়ের ছাড়ে নিরীক্ষার নির্দেশ

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ২০:১৭

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে সুদ মওকুফ নীতিমালা স্পষ্টীকরণ করে বলা হয়েছে, ‘অপরিহার্য ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিলের যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা ও হেড অফ ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স-এর মতামত নিতে হবে।’

সুদ মওকুফ নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ঋণের বকেয়া আদায়ে তহবিল ব্যয়ে ছাড় দেয়ার আগে গ্রাহকের সম্পদ মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা ও হেড অফ ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এইচআইসিসি)-এর মতামত নিতে হবে।

এমন বাধ্যবাধকতা আরোপ করে আগের দেয়া সার্কুলারের একটি উপধারা স্পষ্টীকরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত্র সার্কুলার জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।

এর আগ পর্যন্ত কেস টু কেস ভিত্তিতে ঋণের সুদ মওকুফ করতো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সে ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ঋণের সুদ মওকুফ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হতো।

সার্কুলারে বলা হয়, ‘অপরিহার্য ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিলের যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা ও হেড অফ ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (এইচআইসিসি)-এর মতামত গ্রহণ করতে হবে।’

গত এপ্রিল মাসে এক সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণের বকেয়া সুদ মওকুফ করতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে যেমন- ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদী ভাঙন, দুর্দশা বা বন্ধ প্রকল্প ইত্যাদি কারণে ব্যাংক কর্তৃক ঋণের সুদের সম্পূর্ণ অংশ বা অংশবিশেষ মওকুফ সুবিধা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন গ্রাহকের অনুকূলে প্রায়শই সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এতে করে, সুদ মওকুফ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে গ্রাহকদের মাঝে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে যা ব্যাংকিং খাতে সার্বিক ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

তখন বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণ আদায়ে সুদ মওকুফের সুযোগ দেয়া হয় নিয়ম মেনে। ওই সার্কুলারে বলা হয়, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদ মওকুফে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। আর ঋণ আদায়ে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় আদায় করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর