বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ব্যবসায়ীদের

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ২২:০৮

‘আড়তদারদের নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আসলে আড়তদাররা সরাসরি মূল্য নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত না। অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে কৃষকরা এখন সরাসরি পণ্য বিক্রি করে। আড়তদাররা শুধু একটা কমিশন পায়। সরবরাহ বিঘ্নিত হলেই বাজারে তার প্রভাব পড়ে।’

মাছ, মাংস, ফলমূলসহ শাক-সবজির আধুনিক সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের মাধ্যমে উৎপাদক এবং ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধান কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন কাঁচাপণ্য আড়তদার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সভায় ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। তারা জানান, কৃষক থেকে আড়ত পর্যন্ত পৌঁছতে অন্তত ৩০ শতাংশ পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক পথে চাঁদাবাজির কারণেও পণ্যের ব্যয় বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ের দামে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘কাঁচাপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির শিকার হয়ে ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে প্রায়ই অভিযোগ করেন।’

উন্নত বাজারব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নগরীতে গড়ে ওঠা নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পগুলোতে বাজার স্থাপনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং আবাসন ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

মাছ, মাংস, শাক-সবজিসহ কাঁচাপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, ‘সারাদেশে কতগুলো আড়ত, মোকাম এবং কৃষি ভাণ্ডার রয়েছে, তার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দৈনিক চাহিদা এবং উৎপাদনের সঠিক তথ্য নিরুপণের মাধ্যমে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।’

পণ্য পরিবহনে নিজেদের দুর্বলতা সংশোধনে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি জোর দেন পণ্যের আধুনিক প্যাকেজিংয়ের উপর।

সভায় কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি এমরান মাস্টার বলেন, ‘আড়তদারদের নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আসলে আড়তদাররা সরাসরি মূল্য নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত না। অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে কৃষকরা এখন সরাসরি পণ্য বিক্রি করে। আড়তদাররা শুধু একটা কমিশন পায়। সরবরাহ বিঘ্নিত হলেই বাজারে তার প্রভাব পড়ে।’

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে পচনশীল পণ্য সংরক্ষণে রাজধানীসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউজ নির্মাণ, কন্ট্রোলড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ সুবিধা সম্পন্ন স্টোরেজ গড়ে তোলা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির দাবি জানান বক্তারা।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, আবু মোতালেব, ইকবাল শাহরিয়ার, শমী কায়সার, আক্কাস মাহমুদ, সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মাহবুব ইসলাম রুনু, ওমর ফারুক, নূর মোহাম্মদ, মনিরুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান বাবুল, সোহেল রানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর