বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এককভাবে এবং গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জিটুজি) ভিত্তিতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ-এর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয় যাচাইয়ে বেজা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি এই আগ্রহের কথা জানায়।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা কর অবকাশ, বিনিয়োগের প্রকৃতি ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বাংলাদেশের পর্যটন খাত, একক বিনিয়োগ এবং জিটুজি ভিত্তিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখান।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো শক্ত করতে সিঙ্গাপুর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে দেশের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এ লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করছে।’
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য উৎপাদন-রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘বেজা বিনিয়োগ উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করছে এবং সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর সব সেবা একটি জানালা থেকে দেয়ার সুবিধা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজ পূর্ণগতিতে এগিয়ে চলেছে।’
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। বেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মি. সো ওয়েই চেন, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের আঞ্চলিক পরিচালক সাবরিনা হো, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুজ্জামানসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।