বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বব্যাংকের ঋণের শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৩০

বাজেট সহায়তার জন্য গত অর্থবছরে সরকার ৫০ কেটি ডলার ঋণ চেয়েছিল বিশ্বব্যাংকের কাছে। এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ডলার আগেই ছাড় করেছে সংস্থাটি। বাকি অর্থ ছাড়ে অর্থমন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে বিশ্বব্যাংকের এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন শর্ত পূরণের তাগিদ।

বাজেট সহায়তার অর্থছাড় পেতে দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দাতা সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল, সেগুলো এখনও পূরণ হয়নি। সেগুলো বাস্তবায়ন হলেই কেবল সহায়তা মিলবে।

রোববার সচিবালয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে এই তাগিদ দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

বাজেট সহায়তার জন্য গত অর্থবছরে সরকার ৫০ কেটি ডলার ঋণ চেয়েছিল বিশ্বব্যাংকের কাছে। এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ডলার আগেই ছাড় করেছে সংস্থাটি। বাকি অর্ধেক ছাড়ের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, ঋণ পেতে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল, তা এখনও সব পূরণ হয়নি। সংস্কারগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে বাজেট সহায়তার বাকি টাকা আগামী জুনের মধ্যে ছাড় করা হবে।

তিন দিনের সফরে শনিবার রাতে ঢাকা এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সকালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর যান অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।

অর্থমন্ত্রী এই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও বাজেট সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া সংকট মোকাবিলায় পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের কাছে আরও বেশি ঋণ চান মন্ত্রী।

বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের সোয়া ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব পাইপলাইনে জমা রয়েছে। এ টাকা দ্রুত ছাড়া করার জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে অনুরোধ করেন মুস্তফা কামাল।

বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, বাজেট সহায়তায় দ্বিতীয় ধাপে অর্থ ছাড়ের জন্য যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতি জানতে চান বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

শর্তগুলোর মধ্যে আছে শিশুদের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা আইন।

জবাবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ-সংক্রান্ত খসড়া আইন নিয়ে সরকার কাজ করছে। শিগগিরই তা চূড়ান্ত করা হবে।

বিষয়টি ওয়াশিংটনে প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করাবেন বলে অর্থমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

তবে বর্তমান সংকট মোকাবিলায় অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন করে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে তা নিয়ে এই বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে ৩৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান দিয়েছে। এর মধ্যে অর্থ ছাড় হয়েছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংক সাধারণত বাংলাদেশকে প্রকল্প সাহায্য দিয়ে থাকে। এর বাইরে বাজেট সহায়তায় অর্থায়ন করে।

বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে থাকে বিশ্ব ব্যাংক। এর আওতায় কোন বছরে কত ঋণ দেয়া হবে তা উল্লেখ থাকে।

বিশ্বব্যাংক ষে ঋণ দেয় তা নমনীয় ঋণ। ঋণের সুদহার এক শতাংশের নিচে এবং পরিশোধের সময় ১৫ থেকে ২০ বছর।

বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্বব্যকে বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক সবসময় আমাদের পাশে থাকবে। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর