বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবে না মানি চেঞ্জার

  •    
  • ১০ নভেম্বর, ২০২২ ২০:২০

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত কোনো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান দিন শেষে নিজেদের কাছে ২৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নগদ আকারে রাখতে পারবে। আর দেশি মুদ্রা ৫০ লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না।

দিনের বেচা-কেনা শেষে একটি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ নগদ টাকা রাখতে পারবে, তার সীমা ঠিক করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। খোলা বাজারে বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি ও দর নিয়ন্ত্রণে এ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এখন থেকে বিদেশি মুদ্রা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত কোনো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান দিন শেষে নিজেদের কাছে নগদ ২৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখতে পারবেন। এর বেশি কোনোভাবেই রাখা যাবে না। এ ছাড়া ব্যবসা পরিচালনায় স্থানীয় মুদ্রা টাকার অঙ্কে কোনোভাবেই নগদ ৫০ লাখ টাকার বেশি রাখতে পারবে না তারা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য ও মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদনপ্রাপ্ত অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখায় পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত কোনো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান দিন শেষে নিজেদের কাছে ২৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নগদ আকারে রাখতে পারবে।

মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগদ টাকা রাখার সীমা নির্ধারণ করে দেয়া একটি নতুন সিদ্ধান্ত। তবে ২৫ হাজার ডলারের বিষয়টি আগে থেকেই আছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১ লাখ ডলার রাখতে পারার অনুমোদন চেয়েছিলেন। অন্তত ৫০ হাজার ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অনুমোদন দিলেও ব্যবসা পরিচালনায় উপকার হতো বলে জানান তারা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, ২৫ হাজার ডলারের বেশি হওয়া বৈদেশিক মুদ্রা মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে থাকা তার বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে (এফসি হিসাব) জমা রাখতে হবে। পরবর্তীতে তা প্রয়োজন আকারে তুলতে পারবে তারা।

সে ক্ষেত্রেও একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, এফসি হিসাবে কোনোভাবে ৫০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার চেয়ে বেশি জমা রাখতে পারবে না কোনো মানি চেঞ্জার। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান চাইলে তা ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।

নগদ টাকা মানি চেঞ্জাররা কতটুকু রাখতে পারবে, এর আগে তা কখনই উল্লেখ করা হয়নি।

ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমতে থাকায় ব্যাংকগুলোতে তর‌ল ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। প্রবাসী আয় আসা কমতে থাকায় দেশে নগদ ডলারের সরবরাহও কমে যায়। এতে গত ১২ জুলাই প্রথমবারের মতো খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয় ১০০ টাকায়।

এরপর থেকেই ডলারের দাম অস্থিতিশীল হয়। খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১২১ টাকায়। এক বছর আগেও যা ছিল ৯০ টাকা।

এরপর ডলারের কারসাজি রোধে খোলাবাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে অভিযান চালায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায়। এছাড়া আন্তঃব্যাংকে এদিন ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ দশমিক ২৮ টাকায়।

মানি এক্সচেঞ্জগুলোর ডলার সংগ্রহের মূল উৎস বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা। তারা কাগুজে মুদ্রা বেচা কেনা করে থাকে। তারা একটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে মাত্র।

২৩৫টি মানি চেঞ্জার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিলেও দেশের বাজারে ৭০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। অভিযানে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়। আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বলা হয়।

আগস্টের শেষ সপ্তাহে অভিযানে অর্থ পাচারে জড়িত সন্দেহে ২৮টি মানি চেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন গাইডলাইন অনুযায়ী, মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে দিনশেষে ২৫ হাজার ডলারের বেশি থাকলে তা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ডলার বেচাকেনা, কত ডলার বেচাকেনা হলো, তার তথ্য নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিতে হয়। তবে ব্যাংকের মতো এসব প্রতিষ্ঠানে জোর তদারকি না থাকায় অনেক মানি চেঞ্জার নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।

এ কারণে একটি কোম্পানি কত ডলার রাখতে পারবে, তা সার্কুলারে স্পষ্ট করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এ বিভাগের আরো খবর